রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সারা দেশে ক্রমবর্ধমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরাম।
শনিবার (১২ জুলাই) পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
বক্তারা বলেন, দেশজুড়ে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একাধিক রাজনৈতিক সংগঠনের সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব অপরাধকে যারা রক্ষা করে, তারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, বিচার ব্যবস্থাও রাজনৈতিক প্রভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরও দেশে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় কোনো মৌলিক সংস্কার হয়নি। ঢাবির তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে মিটফোর্ডের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সবই প্রমাণ করে এ ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। না হলে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতেও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো একই ধারার রাজনীতি বহন করবে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যা করা হয়। নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে আটক করে। পরে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের হয়।
এদিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যা করার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে অনেকেই এর নিন্দা জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন