ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারীদের ৫ হলসহ কয়েকটি হলকে ইতোমধ্যে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের একাট্টা দাবির মুখে এসব হলের প্রাধ্যক্ষরা ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারনামা বা লিখিত দিতে বাধ্য হন।
বাকি হলগুলোতেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সকাল থেকেই আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অধিকাংশ হলের ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা রাতেই হল ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৬টায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হল থেকে ছাত্রলীগ ও ছাত্র রাজনীতি হঠানোর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তাদের কোটা, ছাত্রলীগ ও ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। একপর্যায়ে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মুখোমুখিও হন তারা। ফলে হলটিতে প্রাধ্যক্ষ এবং হাউস টিউটরদের উপস্থিতিতেই উচ্চবাচ্য বিনিময় করতে দেখা যায় উভয় পক্ষকে।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে দিয়ে তাদের কক্ষে ভাঙচুর চালান হলের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সকাল ৭টার দিকে এই ভাঙচুর শুরু হয়। হলটিতে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতারা সব হল ছেড়ে পালিয়েছে।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্যসেন হলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের ৩৪৪ নম্বর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়েছে। এর পাশের দুই কক্ষসহ অন্য ছাত্রলীগ ক্যান্ডিডেটদের কক্ষেও ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া, বিজয় একাত্তর হলের ফটকে ভোর থেকে ছাত্রলীগের অবস্থান দেখা গেলেও সকাল ৭টায় শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের হল ছাড়া করেন এবং বিভিন্ন নেতার কক্ষে ও ছাত্র সংসদ কক্ষে ভাঙচুর চালান বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন