সিলেট ব্যুরো ও শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে আন্দোলনকারী-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত শতাধিক

গণমিছিলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে শিক্ষার্থী-পুলিশ মুখোমুখি। ছবি : কালবেলা
গণমিছিলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে শিক্ষার্থী-পুলিশ মুখোমুখি। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে গণমিছিলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার সিলেট ব্যুরো মিঠু দাস জয় ও পুলিশসহ শতাধিক আন্দোলনকারী।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে সিলেটের সুরমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গেলে ফটক বন্ধ দেখে তারা ফটকের কাছাকাছি বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে 'শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি' লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। বিক্ষোভে তারা 'ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব দে'; 'গুলি করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না'; 'আমার ভাই শহীদ কেন? প্রশাসন জবাব দে', 'দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ', 'স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে'; 'খুনি তোদের রক্ষা নাই, খুন হয়েছে আমার ভাই'; 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে মিছিলটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুরমা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে আবার সুরমা আসার সময় পেছন থেকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে সুরমা ও আখালিয়া এলাকায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।

এদিকে সুরমা এলাকার মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে পুলিশ সেখানে হামলা করে। তাছাড়া পুলিশকে আশপাশের বাসা-বাড়িতেও হামলা করতে দেখা যায়।

হামলার বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমাদের ওপর নির্বিচারে পুলিশ পেছন থেকে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে আমাদের বেশকিছু নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জনের অধিক আহত ও ৮ শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, রাস্তা ব্লক করে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার শেল, ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তা ছাড়া আমরা ৮ দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করছি।

আহত দৈনিক এশিয়ান এইজের ফটো সাংবাদিক বলেন, আমরা হাসপাতালের পাশ থেকে ভিডিও করার সময় পুলিশ হামলা চালায়। আমরা হাত দিয়ে বারবার পুলিশকে ইশারা করা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের দিকে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি মারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শপথ ছাড়াই ইশরাককে মেয়র হিসেবে সংবর্ধনা

রাতের মধ্যে কখন কোথায় হতে পারে বজ্রপাত

ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোহাম্মদ কাজেমি কে

ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাবে কি না, জানালেন প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবারও কর্মসূচি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা

চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ইরান থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: আমীর খসরু 

নতুন সামরিক নেতৃত্বে কাদের রাখল ইরান

সারা দেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমবে তাপমাত্রা

১০

হাত ও পায়ে ঝিনঝিনে ভাব হলে করণীয়

১১

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে : আইন উপদেষ্টা

১২

আবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ

১৩

শিক্ষকের মর্যাদার গল্পে প্রশংসিত জোভান-কেয়া

১৪

ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ১

১৬

ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তান

১৭

‘এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’

১৮

৬ দিনে যমুনা সেতুতে কত টোল আদায় হলো

১৯

মোসাদের গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান

২০
X