নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন চালু হওয়া শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ। নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ না থাকায় জিমনেসিয়ামে চলছে বিভাগটির শ্রেণি কার্যক্রম। ফলের শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া এখনও হয়নি প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা। এ নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিভাগীয় সূত্রে, দুটি কোটাসহ ৩২ আসনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী নিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু হয় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের। যাত্রা শুরুর পর বিভাগটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষক। ফলে, নিজস্ব শিক্ষক না থাকায় অন্য বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দুজন কর্মকর্তা নেন ক্লাস। এ ছাড়া বিভাগটির সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফৌজিয়া খাতুন ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পাঠদান করাচ্ছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের (জিমনেসিয়াম) পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমানও চালাচ্ছেন শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম।
এ দিকে নিজস্ব কোনো শ্রেণিকক্ষ না থাকায় জিমনেসিয়ামেই শ্রেণি কার্যক্রম চলছে বিভাগটির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ না থাকায় আমাদের জিমনেশিয়ামে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের নিয়োগপ্রাপ্ত নিজস্ব কোনো শিক্ষকও নেই। ফলে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বা অনেকের হয়ে গেছে। অথচ আমাদের বিভাগের পরীক্ষা হওয়া তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত ফরম ফিলাপও হয়নি। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আমাদের মধ্যে চরম হতাশা ও হীনমন্যতা বিরাজ করছে। আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। অতি সত্বর আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করতে কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিভাগীয় সভাপতি ও খণ্ডকালীন শিক্ষকদের কক্ষ না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ না থাকায় তাদেরও শ্রেণিকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিভাগের পাঠদান প্রায় শেষ। অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রথম ব্যাচের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো যৌক্তিক। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন নতুন বিভাগ যাত্রা শরু করে তখন সেখানে নানা সীমাবদ্ধতা থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আগামী ১৬ তারিখে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। ধীরে ধীরে বাকি সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে।
মন্তব্য করুন