জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জগন্নাথের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়েছে জবির স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনগুলো। ছবি : কালবেলা
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়েছে জবির স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনগুলো। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় নিরলস কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিএনসিসি, রোভার ও রেঞ্জারের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। পরীক্ষার ২ ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছে তারা পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে হলে প্রবেশ করিয়েছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও তারা অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের সহায়তা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাহায্য, অ্যাডমিট কার্ড দেখে পরীক্ষার রুম চেনানো এবং অভিভাবকদের অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। এক কথায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন তারা।

চলতি বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪ ইউনিটে প্রায় দেড় লাখ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে এসেছিলেন আরও দুই লক্ষাধিক মানুষ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরিচালনা কঠিন হলেও বিএনসিসি জবি প্লাটুন, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত সুনিপুণভাবে পালন করে গেছেন।

বিএনসিসি ইনচার্জ তৌফিক হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য মানুষের সেবা করা, যে কোনো পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা। এ বছর শৃঙ্খলা বজায় রাখাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করেছি। আজকে সি ইউনিটের মাধ্যমে শেষ ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৩০ জন ক্যাডেট দায়িত্ব পালন করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা একইভাবে দায়িত্ব পালনের আশা রাখি।

রোভার স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, রোভারের মূল দায়িত্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শৃঙ্খলা রক্ষা। পরীক্ষার শুরু থেকেই আমাদের এই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায়ের কার্যক্রম চলমান ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট প্রতিষ্ঠার সেই শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বিএনসিসি, রোভার ও রেঞ্জারের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রক্টোরিয়াল বডির পাশাপাশি তারা মূল দায়িত্ব পালন করছে। সবার সহায়তায় এবার আমরা সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে কখন

স্ত্রীর হাতে স্বর্ণের চুড়ি, সন্দেহের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে স্বামী

নতুন জোট গড়ছে ৩ দল, ঘোষণা বিকেলে

এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ

কবরস্থান থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো উন্নতি হয়েছে: সালাহউদ্দিন

ল্যাপটপের ৫ গোপন ফিচার, যেগুলো এখনই ব্যবহার করা উচিত

চকলেট রঙে আবেদনময়ী মন্দিরা

আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল মাতানো ক্রিকেটার এবার নোয়াখালীতে

দুই পা কেটে কৃষককে হত্যা

১০

ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ

১১

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের

১২

গাজায় বাস্তবে এখনো যুদ্ধবিরতি হয়নি : কাতারের প্রধানমন্ত্রী

১৩

আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

১৪

রাজনীতিতে অবৈধ আয়ের প্রভাব চাঁদাবাজিকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

১৫

যে কারণে বহিষ্কার হলেন জামায়াত নেতা নুরুল্লাহ

১৬

ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল

১৭

কাজি পদে আবেদন করতে পারবেন কওমি সনদধারীরা

১৮

চুম্বন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন ঐশী

১৯

হামজাকে দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে বার্সেলোনা

২০
X