খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দখল হয়ে গেল খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গ্রাফিক্স। ছবি : সংগৃহীত
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গ্রাফিক্স। ছবি : সংগৃহীত

খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত অংশীদার না হয়েও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. মিজানুর রহমান। আর এ পদ বাগিয়ে নিতে সাবেক চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই, তিনি গোপন সভা করে নিজেকে নির্বাচিত করেছেন। চেয়ারম্যানই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতির নির্ধারক ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সোমবার (২৬ মে) সকালে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব ) ড. সাহিদা খানম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় মো. মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বারে উপস্থিত ছিলেন না, আর যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পরিবর্তন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। কৌশলে এ পদটি তিনি দখল করে নিয়েছেন। আর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদিত অংশীদার (ট্রাস্টি) নয়। যে অনুমোদিত অংশীদার নয়, সে কি করে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। তিনি এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন। বিভিন্ন আইনগত বাধার কারণে এতে বিপাকে পড়বেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টারের কার্যালয়ের সূত্র জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারেন। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে আঠারো জন ট্রাস্টি ছিলেন। বাকি তিনজন ট্রাস্টির পদ পূরণের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও মো. আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) পাঠানো হয়। তবে আরজেএসসি থেকে তাদের এখনো ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট হিসেবে কাজ করে আসছি। ২১ তারিখের মিটিংয়ে সবাই আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। অনুমোদিত অংশীদার না হয়ে কীভাবে চেয়ারম্যান হলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদনের জন্য ইউজিসিতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই আমি চেয়ারম্যান হিসেবে গণ্য হব। আর যদি তারা অনুমোদন না দেই তাহলে আমি চেয়ারম্যান হব না। আর আমাকে ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরজেএসসিতে তো আবেদন করা হয়েছে। এটা অনুমোদন হতে একটু সময় লাগে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেকর্ড

শরীয়তপুরে প্রথম নারী পুলিশ সুপার রওনক জাহান

বাবা বেঁচে আছে কিনা জানি না, ইমরান খানের ছেলে

যারা ভোট দিতে পারবেন না, জানালেন ইসি সচিব

মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আহ্বান জামায়াতের

গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল তামিমের

চলন্ত যানবাহনে নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে চীনের মেডিকেল টিম

১০

মার্কিন হুমকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক জোটের দ্বারস্থ ভেনেজুয়েলা

১১

নারী বিপিএল আয়োজনের ঘোষণা বিসিবি সভাপতির

১২

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে

১৩

হাসিনা, রেহানা, টিউলিপ কেন আইনজীবী পাননি, বিচারকের ব্যাখ্যা

১৪

কাভার্ডভ্যানচাপায় প্রাণ গেল বিএনপি নেতার

১৫

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ

১৬

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, প্রেমিক গ্রেপ্তার

১৭

তারেক রহমান ভোটার হননি, যেভাবে হতে পারবেন প্রার্থী

১৮

বিপিএল : নোয়াখালীর অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যিনি

১৯

হাসিনা-টিউলিপকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরাতে চায় দুদক

২০
X