বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যুক্ত করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ১০ জন শিক্ষার্থী। রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে তারা অনশনে বসেন।
শিক্ষার্থী দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংযুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংযুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে বহুবার আবেদন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানান তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে দুপুর ১টার দিকে তাদের সাথে কথা বলতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী, রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ ও ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামাণিক। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং আমরণ অনশনের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানান।
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের বলেন, এর আগেও এই দাবি জানিয়ে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি তাই দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করে যাবেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ইউজিসির সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করলে উপাচার্য ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করতে তাদের দপ্তরে ফিরে যান।
অনশনকারী শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ইউজিসির কাছে বারবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসলো তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য অংশীজনদের নিয়ে আলাপ আলোচনা ও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে অনশনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে।
আরেকজন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংযুক্ত করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত উঠব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিকে তিনি সবসময় ইতিবাচকভাবে দেখেন। তবে নভেম্বরের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে আমাকে কনফার্ম করা হয়েছে। আশা করছি এ সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে।’
মন্তব্য করুন