ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা ইবির নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

মিছিলে বিক্ষোভকারীরা ‘চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’; ‘জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’; ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী ও ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ অন্যরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর নির্মম হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। যেই স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য ছাত্রজনতা জুলাই আন্দোলন করেছে সেই নিরাপত্তা এখনো পায়নি, তার দৃশ্য আমরা দেখতে পেয়েছি চবিতে হামলা করা হয় কিন্তু ইন্টেরিম সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।’

তারা আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে জুলাই আন্দোলনকারীরা পদে পদে হামলার শিকার হচ্ছে, দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি আক্রমণ করা হচ্ছে, ছাত্রদের প্রতি এত কীসের ক্ষোভ? কী কারণে বারবার হামলা করা হচ্ছে? আমরা ইন্টেরিম সরকার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাই চবিতে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ব্যবস্থা করেন। যদি সেটা করতে না পারেন তাহলে আপনাদের সরকারে থাকার কোনো দরকার নাই।’

ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনকারীদের কীভাবে মারা হবে, আহত করা হবে, নিগৃহীত করা হবে যেন এটা একটা ট্রেন্ডের মতো হয়ে গেছে। এই ট্রেন্ডের সর্বশেষ উদাহরণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভাই-বোন ও শিক্ষার্থীদের ও পর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা। অভ্যুত্থান পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জায়গায় সংস্কার হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। এক বছরে পেরিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি চট্টগ্রামে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ করা হচ্ছে। এই রিফাইন্ডের কারণে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে চট্টগ্রামের প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। চবিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার যদি ইন্টেরিম সরকার করতে না পারে তাহলে এই সরকারের চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতার ‘গতি বাড়ছে’

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এসএমসি, ৪২ বছরেও আবেদন

মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে ২ বন্ধু নিহত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, জানালেন সড়ক উপদেষ্টা

সিরিয়ায় চাপ কমাতে ইসরায়েলকে থামতে বললেন ট্রাম্প

পরোপকারী সঞ্জীবের এমন মৃত্যু কেউ মানতে পারছে না

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ভারতের অনুমতি মিলল দুদিন পর, ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট

১০

মোংলা বন্দরের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন

১১

বরিশালে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ মঙ্গলবার

১২

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু

১৩

দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি : বাবুল

১৪

পরবর্তী সরকারের প্রতি আসিফ নজরুলের আহ্বান

১৫

পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা যুবক আটক

১৬

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রয়োজন : মান্নান

১৭

এভারকেয়ারে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ব্যারিকেড

১৮

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১৯

খালেদা জিয়া কাঁদলে বাংলাদেশ কাঁদে : আমান

২০
X