বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত সাত বীরশ্রেষ্ঠর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৭ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের এক প্রার্থী।
সোমবার ( ১ সেপ্টেম্বর) এই ইশতেহার ঘোষণা করেন ডাকসুতে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর আদর্শকে সামনে রেখে আমি আমার ৭ দফা ইশতেহার দিয়েছি। এতে শিক্ষার্থীদের অধিকার, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচল, আবাসন সংকট সমাধান এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে।
ঘোষিত ইশতেহারগুলো হলো-
১। দলীয় ইতিহাসের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাসকে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হবে এবং তা ব্যাপক প্রচারের লক্ষো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
২। চাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের সড়কদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অন্যতম ধারক ভাস্কর্য হল ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’। প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এই ভাস্কর্যটির যথাযথ সংস্কার ও প্রয়োজনে পুনঃনির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৩। চাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের যথাযথ চর্চা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন যথাযথ সময়ের মধ্যে আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হবে।
৪। মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও জ্ঞান যথাযথভাবে চর্চা ও প্রসারের লক্ষ্যে চাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৫। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, চল্লিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনসমূহের ইতিহাস যেন কোনোভাবে বিকৃত হতে না পারে সে জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনার নাম মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের নামে নামকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৭। চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের এই অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত সড়কটিকে ‘জুলাই সাহসিকা সরণি’ নামে নামকরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন