রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার পর এ ঘটনা ঘটে। এতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, আগুনে বিলিয়ন ডলারের (১০ হাজার কোটি টাকা) বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএইএবি) সভাপতি কবির আহমেদ।
ভয়াবহ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে এই বিমানবন্দর শুধু যাত্রী পরিবহনের কেন্দ্র নয়, বরং বাংলাদেশের ভাবমর্যাদার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। গত এক সপ্তাহে দেশের দুই স্থানে- রাজধানীর মিরপুরে এবং চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আকস্মিক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এ ব্যাপারে আমরা সকলে উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের মতো এমন একটি কৌশলগত স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিঃসন্দেহে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অবহেলা ও নিরাপত্তা ঘাটতির এক স্পষ্ট প্রমাণ।
জামায়াত আমির বলেন, এই দুর্ঘটনায় যদি কোনো গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা বা নাশকতার উপাদান থেকে থাকে, তবে তার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা সময়ের দাবি। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে, সেই জন্য বিমানবন্দরসহ দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রী ও সাধারণ মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং আমদানিকারকসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।
ফায়ার ফাইটারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য যারা আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত আছেন, তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান জামায়াত আমির।
মন্তব্য করুন