চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদের জ্ঞান ফিরেছে। সাত দিন পর শনিবার তার জ্ঞান ফিরে।
অন্যদিকে একই সংঘর্ষে আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
চট্টগ্রামের পার্কিভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির নিশ্চিত করেছেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির শরীফ কালবেলাকে বলেন, শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে মেডিকেল বোর্ড বসে। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো সবকিছু যাছাই করে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। খোলার পর ইমতিয়াজ ভালো রেসপন্স করছে। মা-বাবার সঙ্গে হালকা কথাবার্তা বলেছে। মা, বাবা ও ভাইকে চিনতে পেরেছে। বর্তমানে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছে। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে আবার মেডিকেল বোর্ড বসার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, মামুনের অবস্থাও ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। শনিবার সে একটু করে হেঁটেছে। তবে খুলি প্রতিস্থাপন করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
গত ৩১ আগস্ট দুপুরে সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমতিয়াজ ও মামুন মাথায় গুরুতর জখম পান। রাতেই অস্ত্রোপচারের পর তাদের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বুধবার বিকেল মামুনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ইমতিয়াজ এখনও আইসিইউতে রয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ফটক এলাকায় এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি, তাদের ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনার তিনদিন পর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন