রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একমাত্র নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খানের নেতৃত্বে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’-এর প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞান ভবনের সামনে এই প্যানেল ঘোষণা করেন রাবির সাবেক সমন্বয়ক মাহাইর ইসলাম।
প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাসিন খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ম্যাটারিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রাজন আল আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আরবি বিভাগের মাহাইর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়াও ক্রীড়া সম্পাদক পদে শীত কুমার ওরাং, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অমিত তাঞ্চঙ্গা, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. লাদেন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে সামসাদ জাহান, সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে নাদিয়া হক মিথী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সরোয়ার জাহান নাহিদ, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুনান হাওলাদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে তোফা, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে কবি গোপাল রায়, সহবিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে আর রাফি সিরাজী অন্তর, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এস এম রিজন এবং নির্বাহী সদস্য পদে মো. ফেরদৌস শরীফ, ইমাম হোসেন, এসএম হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মুয়াজ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- তাসিন খান, মাহাইর ইসলাম এবং গোপাল রায়।
প্যানেল ঘোষণা শেষে সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সিনেটসদস্য পদপ্রার্থী তাসিন খান বলেন, আমরা সার্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছি। প্যানেল গঠনের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখেছি যাতে এটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো রাকসুকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের হাতিয়ার বানানো না হয়।
তিনি আরও বলেন, প্যানেল গঠনের সময় আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি যোগ্য ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সঠিক স্থানে রাখার বিষয়ে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই ভারসাম্যপূর্ণ ও যোগ্য নেতৃত্বের প্যানেলকে শিক্ষার্থীরা সমর্থন করবে এবং ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৪টি নির্বাচনে কোনো নারী প্রার্থী ভিপি পদে অংশ নেননি। দীর্ঘ ৩৫ বছরের বিরতির পর এবার আবারও রাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যেখানে একমাত্র নারী হিসেবে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাসিন খান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন।
মন্তব্য করুন