জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমানের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নিজ জেলা ভোলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২য় জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।
এর আগে রাত ১০ টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে খাবারের জন্য শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফীনের সঙ্গে ক্যাম্পাসসংলগ্ন হোটেল স্টার কাবাবে অবস্থান করছিলেন হাসিবুর। এ সময় হঠাৎ তার খিঁচুনি ওঠে এবং বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে হাসিবুর। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
হাসিবুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায়।
এদিকে হাসিবুলের মৃত্যু সংবাদ শোনার সাথে সাথেই ছুটে হাসপাতালে ছুটে আসেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
সমবেদনা জানিয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘হাসিব আমাদের ছাত্রদল পরিবারের একজন গর্বিত সদস্য। জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিবের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মিরপুরে আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। সকলের সাথে অত্যন্ত মিশুক সম্পর্ক ছিল তার।’
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘হাসিববের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, সে জুলাই যোদ্ধা। আমরা তার অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু মুসলমান হিসেবে একজন ব্যক্তির মৃত্যুতে সমবেদনা জানানো সবার দায়িত্ব। হাসিবের মৃত্যুতে সর্ব স্তরের মানুষের সমবেদনা ও প্রতিক্রিয়া এটাই প্রমাণিত, একজন ভালো ও মিশুক মানুষ ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর এভাবে চলে যাওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্টের। আমরা সকলে হাসিবের জন্য দোয়া করব। আল্লাহ তায়ালা যেন হাসিবকে মাফ করে দেন।’
এ ছাড়া জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী, শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন