রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টায়। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিচ্ছেন। তবে চাকসুর মতো রাকসুতেও ভোটারদের হাতে দেওয়া ‘অমোচনীয়’ কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভোটাররা অভিযোগ করছেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে সেই কালি।
জুবেরী ভবন ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে বের হয়ে আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের দাবি ছিল নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করার। কিন্তু প্রশাসন এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরাও এ বিষয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছেন। ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুল অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছিল, নির্বাচনে তারা অমোচনীয় কালি ব্যবহার করবে। তারা নাকি অমোচনীয় কালি আমদানি করেছিল। কিন্তু এতে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত করতে বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি করেনি। ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত এবং অমোচনীয় কালির জন্য আমরা আন্দোলনও করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। এতে জাল ভোট দেওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন তারা অমোচনীয় কালি আমদানি করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে। এটি কেন হয়েছে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইব।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, আসলে ভোটারদের যে অভিযোগ সেটি পুরোপুরি সত্য নয়। নিয়ম হচ্ছে, কালি নখের ওপর দেওয়ার। এটি করলে উঠছে না। কিন্তু চামড়াতে দিলে সেটি ঘষাঘষি করলে তো উঠে যাবেই।
মন্তব্য করুন