একটা সময় ওয়ানডে ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বস্তির ফরম্যাট। বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থানটা গড়েই উঠেছিল এই একদিনের সংস্করণে। কিন্তু এখন সেই ফরম্যাটই যেন টাইগারদের জন্য আতঙ্কের অন্য নাম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ, শেষ ১২ ম্যাচে হেরেছে ১১টিতে। টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা দলটিই এখন ওয়ানডেতে জয়ের মুখ খুঁজছে মরিয়া হয়ে।
তবে সামনে আছে পুনর্জাগরণের সুযোগ। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ—যেখানে র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে ফেরার দরজা খোলা আছে বাংলাদেশের সামনে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশে, পয়েন্ট ৭৪। নবম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৮০। সমীকরণটা সোজা—৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেই বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৭৮, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামবে ৭৬-এ। অর্থাৎ, হোয়াইটওয়াশ ছাড়া অন্য কোনো ফলেই বদলাবে না দুই দলের অবস্থান।
কাজটা অবশ্য সহজ নয়। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ শেষবার সিরিজ জিতেছিল প্রায় এক বছর আগে। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা হারের ধাক্কা দলটিকে র্যাঙ্কিংয়েও টেনে নামিয়েছে।
এই সিরিজের গুরুত্ব শুধু পয়েন্টের নয়, ভবিষ্যতেরও। কারণ ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেতে হলে সেই বছরের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশকে থাকতে হবে অন্তত র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে। এখন টাইগারদের হাতে সময় ও সুযোগ—দু’টিই সীমিত।
তিন ম্যাচের সিরিজের পর ২০২৭ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত থাকবে আরও ২৪টি ওয়ানডে। তার প্রতিটি জয়-পরাজয় সরাসরি প্রভাব ফেলবে বিশ্বকাপের সমীকরণে।
তবে মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজই এখন প্রথম চ্যালেঞ্জ।
একটি জয়ের সিরিজ নয়, এই সিরিজটাই হতে পারে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন সূচনার মঞ্চ—যদি টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ করতে পারে, তবে র্যাঙ্কিংও ফিরবে, আত্মবিশ্বাসও।
মন্তব্য করুন