গণরুমের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করার ঘোষণার পর গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার প্রাথমিক নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের বিপরীতে ছেলেদের তিনটি হলেই গণরুম রয়েছে। সেখানে প্রায় কয়েকশ শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের অনেকেই গণরুমে উঠতে শুরু করেছেন।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, উপাচার্য স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি এবং তাদের মৌখিকভাবে নির্দিষ্ট মেস বা অন্য কোনো ব্যবস্থা করতে বলছি। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাদের নোটিশ দিয়ে অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হবে। আর যাদের স্নাতকোত্তরের ফাইনালি রেজাল্ট হয়ে গেছে তাদের চলতি মাসের মধ্যে হল ছেড়ে দিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চারটি বিষয় (মেধা, সিনিয়র-জুনিয়র, দূরত্ব, আর্থিক) বিবেচনা করে দেওয়া হবে।
এদিকে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল মিহির লাল ভৌমিকও একই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, আমার হলে কোনো গণরুম নেই, তবে নিচে কয়েকটি রুমে ছয়জনের জায়গায় সাতজন থাকে। যাদের স্নাতকোত্তর রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে তাদের কয়েকজনকে অলরেডি আমি সিট বাতিল করে দিয়েছি। আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে যে রেজাল্ট শিট আসবে সে অনুযায়ী স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখিত গণরুম বন্ধসহ আবাসিক হলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া ৮টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন