বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরাম এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি মালঞ্চের উদ্যোগে বুধবার (১৮ অক্টোবর) এ জন্মদিন পালন করা হয়।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বাউবির শেখ রাসেল চত্বরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপাচার্য বলেন, দার্শনিক নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বার্ট্রান্ড রাসেলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু তার সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখেন শেখ রাসেল। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনিও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করতেন। বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতেন। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে শেখ রাসেল জাস্ট্রিন ট্রুডোর মতো নেতৃত্ব দিতেন ।
উপাচার্য আরও বলেন, শেখ রাসেল বাবার দেওয়া নামের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতেন স্বীয় জ্ঞান ও মেধা দিয়ে। তিনি পিতা-মাতা, ভাই, বোন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাত্র দশ বছরের জীবন কাটিয়েছিলেন। তার স্বপ্ন-আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছুকে ৭৫-এর খুনিরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
শেখ রাসেলের ওপর এ নির্মমতাকে উপাচার্য স্মরণকালের একটি বড় কলঙ্কিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার শেখ রাসেল দিবসের স্মারক হিসেবে বাউবির শেখ রাসেল চত্বরে একটি শিউলি ফুলের চারা রোপণ করেন। এ সময় ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, রেজিস্ট্রার ড. মহা: শফিকুল আলম, ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং বাউবির শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরাম, ডিরেক্টরস কাউন্সিলের নেতারা, বাউবির ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও দিবস উপলক্ষে বাউবি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরাম এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি মালঞ্চের উদ্যোগে এবং বাউবি ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন