জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

গাছকাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ। ছবি : কালবেলা
গাছকাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ। ছবি : কালবেলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে অর্ধশত গাছকাটার প্রতিবাদে বৃক্ষরোপণ ও পথনাটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এ সময় ফলজ, কাষ্ঠলসহ মোট ২০টি বৃক্ষরোপণ করেন শিক্ষার্থীরা। বৃক্ষরোপণ শেষে ওই স্থানে একটি পথনাটক পরিবেশন করেন তারা।

এ সময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হওয়ায় এখানে সবচেয়ে সচেতন নাগরিকরা শিক্ষাকার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এখানে গুড প্র্যাকটিস হবে এটাই কাম্য। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় সেসব না করে রাতের আঁধারে সংরক্ষিত বন উজাড় করে ফেলছে। এটা তো সচেতন মানুষের কাজ হতে পারে না। গাছকাটার আগে আরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানকার বাস্তুসংস্থান প্রতিস্থাপন করার মতো বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি ইকোলজিক্যাল হটস্পট। অথচ এখানে বিশেষজ্ঞদের মতামত না নিয়ে বৃক্ষনিধন করা হচ্ছে। উন্নয়ন করতে হলে গাছ কাটতে হবে সেটা সবাই জানে। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়মনীতি মেনেই করতে হবে।

রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইলেক্ট্রনিক করাত দিয়ে গাছ কেটে ফেলার ঘটনা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর না হওয়াকে প্রশাসনের অদক্ষতা বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকায় যেখানে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে সেখানে নতুন করে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত মতবিনিময়ের আয়োজন করতে হবে। যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যেখানে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে অবশ্যই আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী এনভায়রনমেন্টাল সার্ভে এবং এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রথম দাবিটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বাকি ২টি দাবির জন্য আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবেন বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।

গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার পেছনে সুন্দরবন এলাকায় আইবিএ-জেইউ এর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল ৪২ দল, বাকি আরও ছয়

বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

নভেম্বরের সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের তাইজুল

উইগ্রোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন

অনলাইনে ইনভেস্টমেন্টের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আত্মসাৎ

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কাতার দূতাবাসের বার্তা

কাতার নয়, খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে যে দেশ থেকে

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি

নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন, এখন মুখ্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা : রিজভী

১০

১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া সেই নাহিদকে পদ দিল এনসিপি

১১

যারা মাইনাস ফোরের কথা বলছেন তারা স্বৈরাচারের দোসর : প্রেস সচিব

১২

সহজ সমীকরণ মিললেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা!

১৩

এক জেলার ২৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে শোকজ

১৪

আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছে দেশি-বিদেশি ১৩০ প্রতিষ্ঠান

১৫

জবিতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা ‎ ‎

১৬

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩১০ বাংলাদেশি

১৭

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

১৮

এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের তালা

১৯

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা

২০
X