সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছয়টি অনুষদের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ-২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে নবাগত শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ওরিয়েন্টেশনবিষয়ক আলোচনা সভায় সহকারী অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বর্মন এবং সহকারী অধ্যাপক পৃথীলা পূজার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, সংখ্যাগত শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। কারিগরি শিক্ষায় গ্রাজুয়েট ৩ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে মানসম্মত শিক্ষা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো সবক্ষেত্রে গুণগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক আন্দোলন প্রয়োজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা বৃদ্ধি ও ইন্টার্নশিপ চালু করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়াও তিনি ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আমরা বাস্তব জ্ঞানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি করতে না পারি, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আপনারা ভুল করেন নাই। বর্তমানে কৃষির সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে আরও বেড়ে গেছে।
স্বাধীনতার পর সেখানে দেশ খাদ্য সংকটে ভুগছিল, আজ কৃষির উন্নয়নে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ লাভ করেছি। এই কৃষিতে সংযুক্ত হয়ে আপনারাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলিং চললেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের র্যাগিংমুক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স। যেসব শিক্ষার্থীরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারবে না, তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ বক্স রাখা হয়েছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা পরিবারের মতো এই ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে।
এ সময় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল আহ্বায়ক ও ডিনবৃন্দ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দসহ নানা বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন