সারা দেশে ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার বুকেও। ধীরে ধীরে বইতে শুরু করেছে শীতল বাতাস, তার সঙ্গে কাঁপতে শুরু করেছে মানুষের শরীর। আর এরই মধ্যে সকালে কুয়াশা পড়ছে। এমন সময় শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে পুরান ঢাকার বাজার ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে। শীতবস্ত্র নিয়ে এখানকার ফুটপাতে থাকা দোকানিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দাম কম হওয়াতে আগ্রহ নিয়ে আসছেন ক্রেতারাও। কেউ দামাদামি পর্যন্ত সীমিত, আবার কেউ পছন্দমতো কিনে নিচ্ছেন শীতের পোশাকটি।
শনিবার ২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, সদরঘাট, বাবুবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতগুলো ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড়।
লক্ষ্মীবাজার ও সদরঘাট এলাকাজুড়ে সর্বত্রই দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানিরা কয়েকজন কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ টাকা, ৫০ টাকা বলে ডাক হাঁকছে। আবার কেউ অডিও সাউন্ড বাজিয়ে ১০০ টাকা অথবা ২০০ টাকা বলে ডাকছে। এভাবে ডাকাডাকি শব্দে মুখরিত হচ্ছে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতগুলো।
এ সময় ফুটপাতে উলের টুপি, হাত মোজা, পা মোজা, মাফলার, সোয়েটার, কানটুপিসহ বাচ্চাদের নানা ধরনের শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তা ছাড়া কম্বল ও কোর্টের দোকানেও রয়েছে প্রচুর ভিড়।
সদরঘাট এলাকা-লক্ষ্মীবাজার ভ্যানে করে গরম কাপড় বিক্রি করছেন বিক্রেতা মোতালেব মুন্সী তিনি কালবেলাকে বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে দোকানে বেচাকেনা একটু বেশি হচ্ছে। আজকেও মাশাআল্লাহ বেচা-বিক্রি ভালো হইছে তবে ফুটপাতে ভ্যান গাড়ি নিয়ে পোশাক বিক্রি করতেও দিতে হচ্ছে বিভিন্ন চাঁদা।
লক্ষ্মীবাজারের ফুটপাতের আরেক দোকানি আকলিমা আক্তার জানান, শীত যত বাড়বে বেচা-কেনা ততই বাড়বে। গত কয়েক দিন বেচা-কেনা ভালোই হচ্ছে। তবে আশা করি কয়েকদিনের ভেতরে আবারও বাড়বে বেচা-বিক্রি।
এসময় আকলিমার কাছ থেকে গরম পোশাক হুডি নিতে দেখা যায় কয়েকজনকে তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে। তিনি বলেন, শীত এসে গেছে তাই টুকিটাকি কিছু গরম পোশাক কিনছি, তবে বিভিন্ন দোকানের চেয়ে ভ্যান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে অল্প টাকায় মোটামুটি ভালোমানের পোশাক পাওয়া যায়। তাই এখান থেকেই পোশাক কিনছি। দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে মানুষের উষ্ণতা খোঁজে সাশ্রয়ী মূল্যে ভিড় করছে ফুটপাত ও ভ্যানের করে পোশাক বিক্রি করা দোকানগুলোতে।
মন্তব্য করুন