বাইরে থেকে মসলার প্যাকেট কিনে নিতে বলায় মোহাম্মদ আলী নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের এক বাবুর্চিকে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের দুজন কর্মী। ওই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মারধরের ঘটনায় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রধান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে মোহাম্মদ আলীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরে আলম ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মুহাম্মদ রোমান। কমিটিকে সংশ্লিষ্ট ঘটনার কারণ উদঘাটন, দোষী চিহ্নিতকরণ, অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ, ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণ, সুপারিশ ও সুস্পষ্ট মতামতসহ দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন পেশ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং বিবিএ অনুষদের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাবুর্চি মোহাম্মদ আব্দুল আলী বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতা রান্নার জন্য মসলা চাইলে দিয়ে দেই। আমি শুধু বলেছিলাম এগুলো বাইরে থেকে কিনে নিলে ভালো হয়। সবকিছুর দাম বেড়েছে। এটা বলার সাথে সাথে ওরা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারা শুরু করে। একপর্যায় তারা আমার বিশেষ অঙ্গে লাথি মারে। ব্যথার জন্য প্রস্রাবও করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট নির্মল কুমার সাহা বলেন, মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন