রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাতেই দুজনের নাম উল্লেখ করে নগরের মতিহার থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মামলায় অভিযুক্ত দুজন হলেন, মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মিনহাজ আবেদীন (৩৯) ও মোশারফ হোসেনের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭)। তাদের উভয়ের বাড়ি রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায়। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা। নগরের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (রুয়েট) প্রধান ফটকের বিপরীতে রাজশাহী মিষ্টিবাড়ির সামনে একটি মোটরসাইকেলে চড়ে মো. মিনহাজ আবেদীন ও মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল ভুক্তভোগী শিক্ষকের গাড়ি অতিক্রম করে পথরোধ করেন। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষককে গাড়ির দরজা খুলতে বাধ্য করে এবং গাড়ি থেকে বের হতেই দুজন একসঙ্গে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়িভাবে মুখে এবং বুকে কিলঘুষি মেরে আহত করে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মারধরের পর অভিযুক্তরা তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে তালাইমারী রাস্তার দিকে এগোতে থাকলে গাড়ি নিয়ে তাদের পিছু নেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। পরে তালাইমারী মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্তরা ওই শিক্ষকের আবার পথরোধ করেন। একপর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে গালাগাল করে জানতে চায় কেন তাদের পেছনে আসছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক তাদের পরিচয় জানতে চান ও তাদের মোটরসাইকেলের নম্বর দেখতে গেলে মোসাদ্দেক হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে মিনহাজ গালাগাল করে হুমকি অব্যাহত রাখেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তা এবং তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করলে মিনহাজ তাকে মারধর এবং গলাটিপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আলী রেজা বলেন, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা কেন এ হামলা করেছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে মতিহার থানার ওসি শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক গতকাল রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল রাতেই মামলার প্রধান অভিযুক্ত মিনহাজ আবেদীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন