রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একটি অংশ ধসে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের চার দিন পর অফিসিয়াল চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠি ইস্যুর বিষয়টি রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একটি অংশ ধসে পড়ার ঘটনায় দুপুরে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠি পৌঁছেছে কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার কথা বলতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হন। ওইদিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর আজ তদন্ত কমিটির কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড রূপপুরের ‘বালিশ-কাণ্ড’ ঘটনায় আলোচিত। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পর্শে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুটি ভবনেরই কাজ করেছে মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বর্তমানে ওই ভবনের সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সবাই ওই বিষয়ে অভিজ্ঞ। আশা করছি, একটা সুন্দর প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।’
মন্তব্য করুন