রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাবির ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ঢিলেমি কেন!

রাবির নির্মাণাধীন ১০তলা শহীদ এ এইচ কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়াম ছাদে ধস। পুরনো ছবি
রাবির নির্মাণাধীন ১০তলা শহীদ এ এইচ কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়াম ছাদে ধস। পুরনো ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০তলা শহীদ এ এইচ কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়াম ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় নির্ধারিত সময় পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা পরেনি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ওই ছাদ ধসের ঘটনার দিন রাতেই জরুরি এক সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটি গঠনের চার দিন পর কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়। এরপর বেঁধে দেওয়া সাত কার্যদিবসের সময় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। এ ছাড়া এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি।

তবে তদন্ত কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরি বলেন, তারা কাজ করছেন। বেশকিছু জিনিসের টেস্ট করা হচ্ছে। এগুলোর রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। এজন্য সময় লাগছে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিবেদন জমা দিতে আরও দুই-তিন লাগবে বলে জানান তিনি।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল হাসান বলেন, তদন্তের কাজ এখনো চলমান। কাজা শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ–কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্মাণাধীন দুটি ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলের স্বার্থে খেলে কপাল পুড়ল দুই ক্রিকেটারের, দাবি অশ্বিনের

মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন 

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টা হাতি মরে গেছে : রিজওয়ানা

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ঢাবির ১৮ হল সংসদের প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের

স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও পরামর্শ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ দালাল আটক

টাকা ছাড়াই খাওয়া যায় যে ক্যাফেতে, দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য

বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন পেশ

১০

হাসপাতালে গিয়ে মির্জা ফখরুলকে পেলেন না জামায়াতের প্রতিনিধি দল

১১

দূরশিক্ষা ও বিজ্ঞানের মহীরুহ ড. শমশের আলীর মহাপ্রস্থান : এক জ্ঞানতাপস

১২

একযোগে এনসিপির ১৫ নেতার পদত্যাগ

১৩

হাবিপ্রবির ১২ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা 

১৪

শিশুদের হাঁপানি সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি

১৫

‘অপরাজেয় ৭১’ ও ‘অদম্য ২৪’ নামে ডাকসু নির্বাচনে বামপন্থিদের প্যানেল ঘোষণা

১৬

‘সাধারণ ছুটি’ না হয়েও আজ ছুটি যেসব প্রতিষ্ঠান

১৭

পুতিনের মলমূত্রও বিদেশ থেকে রাশিয়ায় বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কেন?

১৮

মালদ্বীপে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১৯

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেতা সিদ্দিক

২০
X