ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ১১টায় শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কিছু সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচির ব্যাপারে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেধা ও জ্ঞানের অন্বেষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াটি একটি পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ভর্তি পরীক্ষার এই স্বপ্ন-সুযোগ-সাধের হাতছানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ যুগ ধরে লালিত ঐতিহ্যের একটি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্যাম্পাস’ বিনির্মাণ, সৃজনশীল সমাজ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মূল ভরসা দক্ষ মানবসম্পদ। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার কালজয়ী দুর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধা, জ্ঞান, শৃঙ্খলার মিশেলে অপূর্ব অন্বেষণ প্রক্রিয়ায় বর্ষপঞ্জির ধারাবাহিকতা মেনে এ বছর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাগুলো আয়োজন করবে।
কর্মসূচির বিষয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থী সমাজের ভালোবাসা-ভরসা-ভয়হীনতার আপসহীন নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকাকে নৈতিক দায়িত্ব মনে করে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি-
- বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ‘শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্যকেন্দ্র’ স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
- ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
- শিক্ষার্থীদের জরুরি পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণে বিনামূল্যে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ কার্যক্রম চলবে।
- শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
- ভর্তি পরীক্ষা উপযোগী শিক্ষা উপকরণ যেমন: কলম, ফাইল ইত্যাদি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
- তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে 'প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র' গঠন করা হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে দিকনির্দেশনামূলক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য জানানোর ব্যবস্থা থাকবে।
- ‘অভিভাবক ছাউনির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিশ্রামের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
- প্রয়োজনসাপেক্ষে হল ছাত্রলীগের সহযোগিতায় পরীক্ষার পূর্ব রাতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতের ব্যবস্থা থাকবে।
- ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যবহারের জন্য ‘মোবাইল টয়লেট’ এর ব্যবস্থা থাকবে।
মন্তব্য করুন