সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন চলছে ফল প্রস্তুতের কাজ। দ্বিতীয় ধাপের (ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের শেষে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
ডিপিই সূত্র জানিয়েছে, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হতে পারে। সেজন্য ডিপিই পরিকল্পনা করেছে, এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করা হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আমাদের লক্ষ্য দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা। এরপর নিয়মানুযায়ী, প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। আর দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের শেষে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা কবে হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এসএসসি পরীক্ষা শেষের পর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার।
এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগভিত্তিক আলাদা করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট) ১৮ জেলায় একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ডিপিই থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন। এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশি ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১টি, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে। তবে শূন্য পদ আরও বাড়তে পারে। কারণ নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হবে।
মন্তব্য করুন