

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই মাদ্রাসাগুলো থেকে যোগ্য আলেম তৈরির পাশাপাশি যোগ্য জনবল তৈরি হোক। তারা সমাজের অন্যায়, অনিয়ম এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখুক। এক্ষেত্রে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষকগণের অবদান অনেক বেশি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সিলেটের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভাগের সকল ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত ‘মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফর রহমান হুমাইদী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মো. কুতুবুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ মাওলানা ময়নুল ইসলাম পারভেজ, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আলী আক্কাস মোল্লা, অধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুল হাসান মো. ইউসুফ আলী, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শামছুল আলম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, সময়োপযোগী দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে নৈতিক সমাজ গঠনে কাজ করছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বৈষম্যহীন নৈতিক সমাজ গঠনে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত মাদ্রাসা শিক্ষায় একই সঙ্গে আধুনিক, যুগোপযোগী ও ধর্মীয় শিক্ষা বিরাজমান।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষকতাকে পেশার পাশপাশি ইবাদত হিসেবে নেশায় পরিণত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ব্রান্ডিং করতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে জীবনে সাফল্য অর্জনে তাদেরকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। আগামীর সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ক্লাসমুখী করতে হবে। দায়িত্বকে ইবাদত হিসেবে মনে করে মাদ্রাসা শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য তিনি সকল শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে শূন্য পদে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। মাদ্রাসায় সরকারের আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করতে হবে।
সভায় সিলেট বিভাগের সকল ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকগণ অংশ নেন।
মন্তব্য করুন