আজকাল হাটে না গিয়েও যখন-তখন কেনাকাটা করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণের সুবাদে দিন দিন বাড়ছে ‘অনলাইন শপিংয়ের’ গ্রহণযোগ্যতা। এখন হাটে না গিয়েও অনেকে অনলাইনে বেচাকেনা করছেন কোরবানির পশু। ‘এক ক্লিকে’ হাট থেকে হাতে’ স্লোগান নিয়ে ‘ডিজিটাল হাট’ শুরু করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ ছাড়া জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে পশু বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। গত বছরের মতোই এ বছরেও ডিজিটাল হাটকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। চতুর্থবারের মতো ডিজিটাল হাটের আয়োজনে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর খামারিরা পশু বিক্রি করছেন। এগারো কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের গুরুত্ব কম নয়। অনলাইন ও ডিজিটাল হাটের আয়োজক এবং অংশীদারদের মতে, আস্থা ও সেবার মান যদি ধরে রাখা যায় তাহলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পশু বিক্রির পরিমাণ আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বছরও অনলাইন ও ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার বেশি কোরবানির পশু বেশি বিক্রি হবে।
অনলাইন হাট থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশি নানা জাতের পশু বাছাই করা খুবই সহজ। আর অনলাইন পেমেন্ট দিয়ে পছন্দের কোরবানির পশু ক্রয় এখন শতঝামেলার সহজ সমাধান। সময়ের পালাবদলে এখন ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনলাইনে পছন্দ করা যায় বাজেট অনুযায়ী কোরবানির গরু বা ছাগল। এখানেই শেষ নয়, আগে হাট থেকে গরু কেনার পর ক্রেতার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পোহাতে হতো নানান ঝামেলা। এখন অনলাইনে গরু কিনলেই ক্রেতার ঠিকানায় গরুটি পৌঁছে দিচ্ছে ডেলিভারিভিত্তিক অনেক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে কোরবানির পশু আনতে বড়-ছোট পিকআপ ভাড়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপ বা প্রতিষ্ঠান। কোনো ঝামেলা ছাড়াই অ্যাপসের মাধ্যমে এখন পিকআপ ভাড়া পাওয়া যায়। সরকার এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কমিয়েছে অনলাইন ডেলিভারির চার্জ। মজার বিষয়, অনলাইন কোরবানির পশু কেনার জন্য হাসিল প্রযোজ্য নয়। তাহলে চলুন, ঘরে বসেই কেনা যাক বাজেট অনুযায়ী পছন্দের কোরবানির পশু।
ডিজিটাল হাট ডট নেট
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অনলাইনে কোরবানির গরু কেনার প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল হাট ডট নেট। ডিজিটাল হাট হচ্ছে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মিলন মেলা। প্রতিবছর এক কোটিরও অধিকসংখ্যক কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আমিষের জোগান এবং দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ প্ল্যাটফর্মটি। ডিজিটাল হাটে পাবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্থানীয় খামারিদের পালন করা গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ। এ ছাড়াও পাবেন উট ও দুম্বা। এ ছাড়া এখানে রয়েছে জেলাভিত্তিক আলাদা হাটের লিঙ্ক। আর দেশের কোন প্রান্তে কোন হাট কখন বসে সেই তথ্যও এখানে পাওয়া যাবে। গরু কেনার পর সেটি জবাই এবং প্রক্রিয়া ও প্যাকেটজাত করে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন তথ্য বলছে, শুধু ক্রেতার বাসায় নয়, বরং মাংস যাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে ঠিকানা দিলে তাদেরও ঘরে পৌঁছানোর মতো সেবা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পাবেন দেশের কোন প্রান্তে কোন হাট কখন বসে সেই তথ্যও। ডিজিটাল হাট ডট নেট কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্রেতা যদি অর্থ পাওয়ার পর গরু অন্যত্র বিক্রি করেন বা গরু সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন বা গরু বিক্রি করার ব্যাপারে মত পরিবর্তন করেন, সে ক্ষেত্রে বিক্রেতার ব্যাপারে সব দায়-দায়িত্ব মার্চেন্টকে নিতে হবে। তবে ক্রেতাকে কোনোরকম চার্জ কর্তন ছাড়া টাকা ফেরত দিতে হবে। অথবা সমমূল্যের অন্য একটি গরুর ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া ডিজিটাল হাট থেকে গরু কেনার জন্য বাড়তি কোনো কমিশন দিতে হবে না। ক্রেতা ও বিক্রেতা নিজেদের মধ্যে অর্থ লেনদেন নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো উপায়ে করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল হাট কোনোভাবে যুক্ত থাকে না। ওয়েব : digitalhaat.gov.bd; ফোন : ০৯৬৩৮০০৭০০৭।
দারাজ বাংলাদেশ
অনলাইনে বিশাল গরুর হাটের আয়োজন করে দারাজ বাংলাদেশ। ২০১৭ সাল থেকে ‘গরুর হাট’ নামক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি করে আসছে। তারা গরুর লাইভ ওয়েট, রং, দাঁত ইত্যাদি দেখে কেনার এবং ছবির পাশাপাশি খামার ও গরুর ভিডিও দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। দারাজে বলছে, এবারের কোরবানির গরুর হাটে থাকছে সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত শতভাগ অর্গানিক গরু। এসব গরু গ্রাম বাংলার আলো-ছায়ায় ঘরোয়া পরিবেশে পালিত। দারাজ গরুর হাটের যে কোনো গরুর উন্নত স্বাস্থ্যের ব্যাপারে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। দারাজ অনলাইনে আপনি গরুর ছবি ও বিবরণ দেখেশুনে ও যাচাই-বাছাই করে কিনতে পারবেন। এখানে শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি ছাড়াও ব্যাপক ডিসকাউন্ট অফার লুফে নিতে পারবেন। ওয়েব : www.daraz.com.bd/bn-gorur-haat।
বিক্রয় ডটকম
‘বিরাট হাট’ নামের ক্যাম্পেইন নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গরু-ছাগল বিক্রি করে আসছে তারা। এ ছাড়াও কেউ চাইলে অংশীদারি কোরবানিরও সুযোগ করে দেবে বিক্রয় ডটকম। ক্রেতা চাইলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা কোরবানির পশু হাতে পেয়ে, দেখেশুনে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। ওয়েব : www.bikroy.com; ফোন : ০৯৬০৯৫৫৫৪৪৪।
অথবা ডটকম
২০২০ সাল থেকে ‘অনলাইন কোরবানির হাট’ শিরোনামে কোরবানির পশু বিক্রি করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অথবা ডটকম। ওয়েব : www.othoba.com; ফোন : ০৯৬১৩৮০০৮০০।
বেঙ্গল মিট
বেঙ্গল মিট পাবনায় তাদের খামার করেছে। তবে রাজধানীসহ সারা দেশেই অনলাইনে তারা কোরবানির পশু সরবরাহ করছে। বেঙ্গল মিটে কোরবানির জন্য পাবেন বিভিন্ন জাতের ষাঁড় ও খাসি। এখানে প্রতিটি ষাঁড় ও খাসির ছবির সঙ্গে দেওয়া রয়েছে মূল্য। ছবি ও মূল্য দেখে বেছে নিতে পারেন বাজেট অনুযায়ী আপনার কোরবানির পশু। ওয়েব: qurbani.bengalmeat.com; ফোন : ০৯৬৭৮-৪৪৪-৫৫৫।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শুদ্ধ
অর্গানিক খাবারের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শুদ্ধ। খামারে নয়, গ্রামের মাঠে-চরে বেড়ে ওঠা অর্গানিক গরু সরবরাহের নিশ্চয়তা দিচ্ছে শুদ্ধ। সরাসরি কৃষকদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা বাজারমূল্য নয়, উৎপাদনমূল্যকে ভিত্তি ধরে কৃষক-জেলে-তাঁতিদের পণ্য বাজারজাত করে। সে ক্ষেত্রে বাজারমূল্য কম হলেও তারা উৎপাদন মূল্যকেই গুরুত্ব দেয়। পরে লভ্যাংশ ভাগাভাগি করে নেয়। গরুর ক্ষেত্রেও তারা একই নীতি অনুসরণ করছে। কোরবানির গরুর ছবির পাশাপাশি লাইভ ভিডিও দেখানোর ব্যবস্থা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। হোম ডেলিভারিও ফ্রি দিচ্ছে। ওয়েব : shooddho.com; ফোন : ০১৯৩৩৩৩১১২২।
আজকের ডিল ডটকম
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্রেতারা তাদের পশুর ছবি আজকের ডিল ডটকমে দিচ্ছেন। সেসব পশুর ছবি দেখে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের কোরবানির পশু। ওয়েব : classified.ajkerdeal.com; ফোন : ০১৮৮২৭২১২০৩।
প্রিয়শপ ডটকম
আয়োজন করেছে ‘অনলাইন কোরবানি হাট’। পরিবারের সব সদস্যকে দেখিয়েই কেনা যাবে পশু। ওয়েব : priyoshop.com; ফোন : ০৯৬৩৬-১০২০৩০।
অনলাইনে পশু বিক্রি করছে কিউকম ডটকম, সামারাই ক্যাটল, সাদেক অ্যাগ্রো, দেশিগরুবিডি ডটকম, মেঘডুবি অ্যাগ্রোসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের কাছে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। উদ্যোক্তা-ক্রেতাদের সুবিধা দুটোই নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কোরবানির পশুর মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ পশু অনলাইনে বিক্রির জন্য রয়েছে সরকারি নির্দেশনা। সেই লক্ষ্য পূরণেই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে কয়েক বছর থেকে শুরু হয়েছে অনলাইনে পশু বিক্রি। জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সব মিলিয়ে ১ হাজার ৭৭০টির বেশি অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পশু। আর ডিজিটাল হাটের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দিন দিন বাড়ছে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ। গতবার নারী উদ্যোক্তাদের ফোরাম থেকে প্রায় ৫৬ জন নারী উদ্যোক্তা ডিজিটাল হাটে নিবন্ধন করেন। এ বছরও অনেকে নিবন্ধন করেছেন। এ ছাড়াও আলাদাভাবে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করছেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।
পরামর্শ
জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কোরবানির গরু কেনার আগে জেনে নিন:
অর্গানিক গরু
গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, মেষ, উট, দুম্বার প্রচুর ক্রেতা থাকলেও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরু কোরবানি দেওয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ পদ্ধতিতে পালন করা এসব গরু মূলত শহুরে ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হলেও, সেগুলো নিয়ে আসা হয় বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত বাজার থেকে। কোরবানির পশুসংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কল সেন্টারের হটলাইন নম্বর ১৬৩৫৮-এ যোগাযোগ করতে পারেন।
কোরবানির পশুর দাম
জীবন্ত পশুর ওজনের ওপর ভিত্তি করে বিক্রেতা নিজেই দাম নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া পশুর দামের সাথে ডেলিভারি বা পরিবহন চার্জ যুক্ত নাকি যুক্ত নয়, তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।
ছবি দেখে পশু পছন্দ
বাস্তবে সাইজ দেখে এবং ওজন আন্দাজ করে গরু কেনা হয়। কিন্তু অনলাইন শপে গরুর জাতের পাশাপাশি গরুর সাইজ ও ওজন লেখা থাকে। তবে অনলাইনে কিছু গরুর আনুমানিক ওজন থাকে। আর কিছু গরুর ওজন ডিজিটাল স্কেলে মাপা থাকে। সে ক্ষেত্রে মাপকৃত ওজন যা ডিজিটাল স্কেল অনুসারে গত এক মাসের মধ্যে নেওয়া হয়েছে কি না, তা জেনে নিন। অনলাইন শপে বিক্রীত বেশিরভাগ গরু লাইভস্টক অফিসার কর্তৃক বয়স ও সুস্বাস্থ্য সনদপ্রাপ্ত কি না, তা জেনে নেওয়া জরুরি। তাই সার্টিফিকেট দেখে গরু বাছাই করলে গরুতে কোনো সমস্যা থাকার বিষয়টা সমাধান হয়ে যাবে। এ ছাড়াও গরুর বিবরণে কয়টি দাঁত পরিপক্ব হয়েছে সেটাও উল্লেখ থাকলে সহজে গরু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
বিক্রীত পশু পরিবহন
অনলাইনে বিক্রীত পশু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রেতাকেই ক্রেতার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন। আবার অনেক খামারি বা অনলাইন প্রতিষ্ঠান বিক্রীত পশু পরিবহন বা ডেলিভারি ক্রেতার ওপর ছেড়ে দেন। এ ক্ষেত্রে ক্রেতারা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পিকআপ ভাড়া নিতে পারেন। তবে ডেলিভারি জোনের বাইরে হলে এ সংক্রান্ত খরচে কোনো পরিবর্তন হলে তা নিয়ে আগেই কথা বলে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি বিক্রয়ের সময় ঠিক করে নিলে ঝামেলা অনেক কমে যায়। পশু ক্রেতার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বিক্রেতার। তাই পশু ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর আগে যে কোনো সমস্যা পশুর আহত, নিহত কিংবা চুরি হওয়ার ক্ষেত্রে সকল দায় বিক্রেতাকে নিতে হয়। ক্রেতা পশু সুস্থ ও সবলভাবে বুঝে পাওয়ার পর কোনো সমস্যা হলে বিক্রেতাকে দায়ী করা যাবে না। পশু ডেলিভারি দেওয়ার পর সঠিক ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে নথি সংরক্ষণ করতে পারেন। যেমন বিকল্প ইনভয়েস বা চালানে ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাক্ষর।
অর্ডার ক্যানসেল
ডিজিটাল হাট ডট নেটে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া ক্রেতা চাইলে ঈদের সাত দিন আগে অর্ডার ক্যানসেল করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অনলাইন চার্জ ও সার্ভিস চার্জ কর্তন করে ক্রেতাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে মূল্য ফেরত দিতে হবে। সাত দিনের কম সময়ে কোনো অর্ডার ক্যানসেল করা যাবে না। আবার কিছু অনলাইন প্রতিষ্ঠান বা খামারিরা অর্ডার ক্যানসেল করতে সম্মত হন না। সে বিষয়ে কোরবানির পশু কেনার সময় আলোচনা করে নেওয়া ভালো।
লেনদেন
অনলাইনে ক্রেতা গরুর ঘোষিত মূল্য দেখে তা শোধ করতে হবে। ভিসাকার্ড, মাস্টারকার্ড বা এমেক্স কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। কেউ চাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেও মূল্য শোধ করতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে নগদ, বিকাশ, রকেট বা যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা। এখানে অনলাইন পেমেন্ট চার্জ যোগ হলেও হাসিল দিতে হবে না বলে অনলাইন চার্জ ক্রেতার জন্য বাড়তি কোনো চাপ হবে না। তবে লেনদেন প্রদানের পর অবশ্যই প্রমাণ সংরক্ষণ করুন।
নিরাপত্তা
সাধারণত অনলাইনে কেনাকাটায় ক্রেতার ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে গোপনীয়তা প্রদান করে। এতে ক্রেতার অ্যাকাউন্টটি অন্য কারও দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড ব্যবহার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর এ পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টটিকে নিরাপত্তা দান করবে। আপনার পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আপনাকে গোপন রাখতে হবে।
অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি
অনলাইন গবাদি পশুর বিক্রয় হাটের যে কোনো গ্রাহক তার ক্রয় করা গবাদি পশুর ব্যাপারে ই-ক্যাবের গঠিত কমপ্লেইন সেলে ফোন বা ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ গ্রহণের সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন / বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ই-ক্যাব সমন্বিতভাবে দোষীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন