পিরোজপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের সমর্থকদের ‘চোখ উপড়ে ফেলার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম আব্দুল আউয়ালের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের ভাই পিরোজপুর সদরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক এবং আবুল শিকদার ওরফে আবু শিকদার প্রকাশ্য জনসভায় এই হুমকি দেন। এসব হুমকির ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের বক্তব্য ও কার্যকলাপকে নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক বলছেন, ‘আমরা শুনেছি নাজিরপুরের অনেক লোকজনকে এখন থ্রেট দেয় (ভয় দেখান)। কিন্তু আমাদেরকে যদি কেউ রক্তচক্ষু দেখানোর চেষ্টা করেন, আমরা তাদের চক্ষু তুলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।’
অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, আবুল সিকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আয়েওয়ালের সমর্থনে একটি জনসভায় প্রকাশ্যে একই রকমভাবে হুমকি দেন। মন্ত্রীর নাম ধরে ওই জনসভায় আবুল শিকদার বলেন, ‘আপনারা তাকে চেনেন নাই, আমি ছোটকাল হতে চিনি। রেজাউল করিম একজন খুনি। তুমি এই দুই নং ওয়ার্ডবাসীর কাউকে কোন লোক দিয়ে যদি চক্ষু লাল করাও, তার চোখ আমরা তুলে দেব। এটা দুনিয়ার কেউ রাখতে পারবে না। আমি তোমারে (মন্ত্রী রেজাউলকে) বলতে চাই, তুমি যেভাবে আছো, সেভাবে ঠান্ডাভাবে নির্বাচন করে মাঠ থেকে ওঠো।’
অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আউয়াল পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী রফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘পিরোজপুর সদর উপজেলা এবং পৌরসভায় যেন নৌকার কোনো এজেন্ট না দিতে পারে। ভোট তো দূরের কথা, কোনো এজেন্ট যেন না দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
তবে এসব ভিডিওর ব্যাপারে টেলিফোনে চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। জানতে চাওয়া হলে পিরোজপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, এসব হুমকির ব্যাপারে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি তাদের এ ধরনের ফৌজদারি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার দাবি করছি। আশা করছি প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
মন্তব্য করুন