বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবার খোলামেলা কথা বললেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। পর্দার খিলাড়ি এবার জানালেন, বাস্তব জীবনে তার ক্যারিয়ারে ‘বিজয়’ এনে দিয়েছে তার স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না। দাম্পত্য জীবনের বহু বছর পর অভিনেতার এই স্বীকারোক্তি যেন নতুন আলো ফেলেছে বলিউডের এক আদর্শ দম্পতির সম্পর্কের গল্পে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টুইঙ্কেল খান্না ও কাজল যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার ও সাইফ আলী খান। এই পর্বটি আবেগময় ও হাস্যরসে পূর্ণ; যেখানে অক্ষয় ও টুইঙ্কেল তাদের দাম্পত্য জীবন, ভাগ্য এবং টুইঙ্কেল কীভাবে অক্ষয়ের ‘লেডি লাক’ হলেন, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
তাদের সম্পর্ক ও বিয়ে শুধুই প্রেমের ওপর নির্ভর ছিল না। বরং অনেকগুলো বিষয় যাচাই-বাছাইয়ের পর টুইঙ্কেল তাকে বিয়ে করতে রাজি হন বলে জানান অক্ষয় কুমার। তার ভাষায়, ‘যখন টুইঙ্কেল খান্নাকে বিয়ে করি, তারপর থেকেই আমার ভাগ্য বদলে যায়।’
টুইঙ্কেল শুরুতে অক্ষয়কে বিয়ে করতে চাননি। এ তথ্য স্মরণ করে অক্ষয় মজার ছলেই বলেন, ‘আমি অনেকগুলো ফ্লপ সিনেমা উপহার দিয়েছিলাম, তাই ও (টুইঙ্কেল) আমার সঙ্গে কাজই করতে চাইত না। দুজন মানুষ যখন সাক্ষাৎ করে, তখন তাদের কুণ্ডলী মেলানো হয়। কিন্তু ও কুণ্ডলীতে বিশ্বাস করত না।
বরং ও জেনে নিতে চেয়েছিল, আমার বাবার কোনো রোগ আছে কি না, ডিএনএ পরীক্ষার মতো করে আমার মামা-চাচাদের অবস্থা যাচাই করেছিল, যেন বুঝতে পারে ভবিষ্যতে বাচ্চাদের অবস্থা কী হবে! এরপরই সে বিয়েতে রাজি হয়। আর তখন থেকেই আমার ভাগ্য বদলে গেল।
অক্ষয় কুমারের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন টুইঙ্কেল খান্না। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার বাবার একজন পরিচিত জ্যোতিষী বলেছিলেন, ‘আমি অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করব।’ তখন তো আমি অক্ষয়কে চিনতামই না! পরে সত্যিই ওকে বিয়ে করলাম। বাবার কারণে আমাদের দেখা হয়েছিল।’
অক্ষয়ের সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি না হওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেন টুইঙ্কেল। তার ভাষায়, ‘আমার বাবার এক পুরোনো প্রযোজক বন্ধু ছিল, যাকে তিনি কথা দিয়েছিলেন যে, আমি তার একটি সিনেমায় কাজ করব। আমি সেই সিনেমায় কাজ করতে চাইনি। কারণ অক্ষয়ের তখন খারাপ সময় যাচ্ছিল, আর আমি একটু অহংকারী ছিলাম।’
এরপর সব সংকট কাটিয়ে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে ঘর বাঁধেন অক্ষয় কুমার। এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরাভ কুমারের জন্ম হয় ২০০২ সালে। তাদের নিতারা কুমার নামে একটি কন্যা ন্তানও রয়েছে। ২০১২ সালে তার জন্ম হয়। আরাভ-নিতারা কাউকেই মিডিয়ায় দেখা যায় না বললেই চলে!
মন্তব্য করুন