

রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির নভোরোসিস্ক বন্দরে নোঙর করা একটি রুশ সাবমেরিনে এ হামলা চালানো হয়। এতে সাবমেরিনটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার নভোরোসিস্ক বন্দরে নোঙর করা একটি রুশ সাবমেরিনে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, পানির নিচে চলাচলকারী ‘সি বেবি’ নামের নৌ ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়, যার ফলে সাবমেরিনটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসবিইউ জানায়, এটি তাদের পরিচালিত একটি ‘অনন্য বিশেষ অভিযান’। হামলার লক্ষ্য ছিল একটি সাবমেরিন, যা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলার জন্য ব্যবহৃত ‘কালিব্র’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ছিল।
এসবিইউর দাবি, সাবমেরিনটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, সেটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। তবে এই দাবি সম্পর্কে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই ঘোষণার সময়ই বার্লিনে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধ অবসান পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেতেনচুক বলেন, সাবমেরিনে সফল হামলা নৌযুদ্ধে একটি ‘নতুন মোড়’ নির্দেশ করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, এই যুদ্ধের নৌসংঘর্ষ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে এই অভিযান পাল্টে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাবমেরিনটি মেরামতের জন্য পানির ওপরে তুলতে হলে তা আবারও হামলার ঝুঁকিতে পড়বে। প্লেতেনচুকের দাবি অনুযায়ী, নভোরোসিস্কে অবস্থানরত রাশিয়ার চারটি সাবমেরিনের মধ্যে একটি এখন অকার্যকর হয়ে গেছে, যার মধ্যে তিনটি কালিব্র ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
মন্তব্য করুন