

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া । টানা ছয় দিন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে স্থির রয়েছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এতে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ ছিল। এর আগের দিন সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রামগঞ্জের মানুষ শীতের কাপড় পরছে।
গত কয়েকদিন শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ ছাড়া দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সদরের ভ্যানচালক সুজন ইসলাম জানান, এ কনকনে শীতে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। এতে আমাদের মতো খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।
পাথর শ্রমিক মিজানুর রহমান জানান, সকালে হিমশীতল ঠান্ডা পানিতে পাথর তুলতে ভীষণ কষ্ট হয়। পরিবারের কথা ভেবেই এই ঠান্ডার মধ্যেও মহানন্দা নদীতে পাথর তুলতে হয়। কী আর করার আছে? যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার কোনোরকম চলে।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, ছয় দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে স্থির রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ ছিল। এর আগের দিন সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন