আসছে ঈদুল আজহায় মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘তুফান’ নিয়ে স্বস্তিতে নেই সংশ্লিষ্টরা। একদিকে সিনেমার টিজার প্রকাশের পর নকলের আভাস নিয়ে হইচই পড়েছে। অন্যদিকে দেশীয় প্রযোজকদের অভিযোগ, সিনেমা নির্মাণের নামে অর্থ পাচার করেছে সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে এফডিসির ১৯ সংগঠনের নেতারা প্রকাশ্যে ‘তুফান’ বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। চলচ্চিত্রপাড়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঠিক সেই সময় শাকিব খান অভিনীত সিনেমাটি নিয়ে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, এবার রেন্টাল জটিলতায় পড়েছে কথিত ৮-১০ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমাটি। বুধবার (৫ জুন) সিনেমা হল মালিক, বুকিং এজেন্ট ও কিছু সংখ্যক ভাড়া করা হলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসে ‘তুফান’ টিম। কিন্তু বেশি ‘রেন্টাল’ দাবি করায় অনেক হল বুকিং এজেন্ট ও ভাড়া করা হলের মালিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে বৈঠক থেকে ফিরে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হল মালিক কালবেলাকে জানান, বেশি টাকা দিয়ে আমরা ঈদে এই সিনেমা চালাব না। প্রয়োজন হলে ঈদে পুরোনো সিনেমা চালাব। তারা যে টাকা দাবি করছে গ্যারান্টি কি দিতে পারবে সিনেমা আদৌ সেই টাকা ব্যবসা করবে? আমাদের বাজার বুঝে রেন্টাল চাইতে হবে। বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।
তবে সূত্রটি আরও জানায়, ঈদে বেশির ভাগ হল মালিকই তুফান সিনেমাটি প্রদর্শন করতে আগ্রহী। কিন্তু অতিরিক্ত রেন্টাল দাবি করায় বেঁকে বসেছেন হল মালিকরা।
এদিকে প্রযোজকদের পক্ষ থেকে টাকা পাচারের অভিযোগসহ ‘তুফান’ কেন্দ্রিক আরও অনিয়ম নিয়ে সিনেমার প্রযোজক আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল মুখ খুলেছেন। সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং সিনেমাটির সংশ্লিষ্টদের বয়ানে সব জায়গাতে বলা হয়েছিল, আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড, চরকি এবং ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ এক হয়ে বড় বাজেটের সিনেমাটি নির্মাণে নেমেছে। কিন্তু এখন শাকিল বলছেন, তুফান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা না, এটি বাংলাদেশের সিনেমা। প্রযোজক আলফা আই স্টুডিওজ লিমিটেড এবং ডিজিটাল পার্টনার চরকি, ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার এসভিএফ।
শাকিল দাবি করেছেন, বাংলাদেশের নিয়মকানুন মেনেই তুফান নির্মিত হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও সেন্সর বোর্ডের সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছে বলে জানান তিনি। শাকিল মনে করেন, প্রযোজকদের আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণীত। কারও মনে প্রশ্ন থাকলে তথ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর থেকে খোঁজ নিতে বলেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন