সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই বছর আগে দায়ের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আজ আদালতে গেছেন এ সময়ের চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্যের জবানবন্দিতে মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চিত্রনায়িকা পরীমণি। কিছু বিবরণ দিয়ে একপর্যায়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ইংরেজিতে জায়েদ খান ফ্রম বাংলাদেশ শুনে ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম’
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন পরীমণি। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে দুপুরে পৌনে ১টার দিকে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
এ সময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দুই বছর আগে সেদিন রাতে বোট ক্লাবে ঠিক কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতস্ততা বোধ করছিলেন পরীমণি।
তখন বিচারক পরীমণির কাছে জানতে চান, ‘আপনি কী সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফিট আছেন?’ পরীমণি বলেন, ‘আজকে ফিট না। প্রিপেয়ার হয়ে আসিনি। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাচ্ছি না।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারক বলেন, প্রকাশ্য আদালতে আপনার বলতে সমস্যা হলে ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন।
পরবর্তীতে পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা সুরভী রিফাত ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। এরপর আদালত পরবর্তী তারিখ থেকে এ মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে বলে জানিয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।
পরীমণির আইনজীবী বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। অনেক কিছুই আছে যা সবার সামনে বলা যায় না।
২০২২ সালের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আদেশ দেন। এরপর গত ২৯ নভেম্বর পরীমণি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ জুন বোট ক্লাবের ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন পরবর্তীতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন