দেশকে নিয়ে বাংলার কবিরা লিখেছেন বিভিন্ন কবিতা। সেগুলোর কিছু কিছুতে সুরারোপ করে তৈরি হয়েছে গান। সেসব গান গেয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করবে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ সপ্তম অধিবেশন করবে প্রতিষ্ঠিানটি।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে বিকেল পৌনে ৪টায় শুরু হবে অধিবেশন।
বুধবার (১৩ ডিসম্বর) ছায়ানটের সংস্কৃতি-ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়।
‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ আয়োজনের সূচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান এবং ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।
সংবাদ সম্মেলনে একাংশে বলা হয়, দেশ-দশের সাম্য ফিরিয়ে আনতে, বাঙালিকে একাত্ম রাখতে—ভালোবাসার হাজার বছরের আপন সংস্কৃতিতে নবজাগরণ সঞ্চার করার ব্রত নিয়ে মহান বিজয় দিবসে ছায়ানট ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ আয়োজন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনন্য এই মিলনমেলার সূচনা ২০১৫ সালের বিজয় দিবসে।
জানা যায়, এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নাচসহ আটটি সম্মেলক গান, একটি একক গান এবং একটি পাঠ নিয়ে। সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্য নাটকের নির্বাচিত অংশ উপস্থাপন করবেন ত্রপা মজুমদার। একক গান গাইবেন আবুল কালাম আজাদ।
দেশের গানগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, গোবিন্দ হালদার, আবদুল লতিফ, মোহাম্মদ মোশাদ আলী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং গুরু সদয় দত্তের রচনা থেকে।
আরও জানা গেছে, নৃত্য পরিবেশিত হবে ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’, ‘আজি রক্ত নিশি ভোরে’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘এই না বাংলাদেশের গান গাইতে রে দয়াল’, ‘লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘আরে ভালো ভালো ভালোরে ভাই’ এবং ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ সম্মেলক গানের সঙ্গে। সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে সমাপ্ত হবে এবারের অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় এবং দীপ্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান এজাজ উদ্দীন আহমেদ।
মন্তব্য করুন