বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মানুষ যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে, অথচ কুকুরদের খাওয়ালেই যত দোষ: শ্রীলেখা

শ্রীলেখা মিত্র। ছবি : সংগৃহীত
শ্রীলেখা মিত্র। ছবি : সংগৃহীত

কলকাতার পর এবার দিল্লি। আশ্রয়কেন্দ্রে কুকুর নির্যাতন, এমনকি মাংস পাচারের অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। প্রশ্ন তুললেন, ‘মানুষ খোলা রাস্তায় অবাধে মলমূত্র ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু কুকুরদের খাওয়ালেই এত সমস্যা কেন?’

শ্রীলেখা নিজেও একজন প্রাণপ্রেমী। পোষা কুকুরের পাশাপাশি পথকুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে বহুবার সমস্যায় পড়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘মানুষের এক অদ্ভুত রাগ রয়েছে অবলা কুকুরদের উপর। হাজার বার মার খাওয়ার পর যদি কুকুর একবার ভৌ ভৌ করে, তখনই ওদের দোষ হয়ে যায়। কুকুরগুলো যদি কথা বলতে পারত, মানুষ মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজত।’

সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ বলছে, পথকুকুরদের প্রতিষেধক দিয়ে নির্বীজকরণ করে আবার রাস্তায় ছেড়ে দিতে হবে। তবে শ্রীলেখার প্রশ্ন, ‘কুকুর আগ্রাসী কি না, সেটা ঠিক করবে কে?’

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার কোন জায়গায় ওদের খাওয়ানো যাবে, তাও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ কুকুররা এলাকায় এলাকায় নিজেরাই ভাগ বেঁধে থাকে। ওদের নিয়ে আইন করতে হলে, আগে ওদের জীবনকে বুঝতে শিখতে হবে।’

সরকারি দ্বিচারিতা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন শ্রীলেখা, ‘যে সরকার গোমাতার পুজোর কথা বলে, তারাই আবার কুকুরের মাংস পাচারে আশকারা দেয়।’

শ্রীলেখার মতে, কুকুরদের যদি নিয়মিত খাবার দেওয়া যায়, তবে তাদের আক্রমণাত্মক আচরণও কমে যাবে। ‘পেট ভরা থাকলে কুকুর নিশ্চিন্তে ঘুমোয়। যে কোনো প্রাণীর মতোই ওদেরও খালি পেটে মেজাজ খারাপ থাকে। মানুষ তো নয়, যে ভরা পেটেও ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করবে!’

শেষে অভিনেত্রীর সরল স্বীকারোক্তি ‘যারা কুকুর ভালবাসেন, তাদের কাছে দেশি-বিদেশি বলে কিছু নেই। আমি নিজে দেশি কুকুরই আগে কাছে টেনে নিয়েছি। মানুষ খুন-ধর্ষণ করছে, অথচ সব দোষ চাপানো হচ্ছে কুকুরের উপর। এটা কতটা ন্যায্য?’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতে দেওয়া হবে না : সেলিমুজ্জামান

জাপানে বিএনপির রাষ্ট্রবিনির্মাণের ৩১ দফা প্রচারণা

জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

এল ক্লাসিকোর আগে কষ্টের জয়ে শীর্ষে রিয়াল

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : বংশাল থানা অবরোধ

ঢাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি 

বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে : মিডিয়া সেল 

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন হবে : এসএম জাহাঙ্গীর

অ্যানফিল্ডে এক দশকের অভিশাপ ভাঙল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

রূপনগরে আগুন / ডিএনএ শনাক্তের পর ১৬ মরদেহ পেলেন স্বজনেরা

১০

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক 

১১

সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : বাসস চেয়ারম্যান

১২

রোমাঞ্চকর জয়ে ভারতকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

১৩

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

১৪

‘আগুন লাগার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে’

১৫

কিডনি রোগীদের জন্য যে ১০ খাবার নিষেধ

১৬

গাজায় আবারও ইসরায়েলের বিমান হামলা 

১৭

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৮

আ.লীগের কেন্দ্রীয় ১ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

হোটেলে নাশতা খেয়ে শিশুসহ ৬ জন অজ্ঞান

২০
X