চিনি খেতে কে না ভালোবাসে? মিষ্টি খাবার যেমন মুখরোচক, তেমনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর— বিশেষ করে যখন সেটা বেশি খাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : বারবার খাবার গরম করা নিয়ে যা বলছেন পুষ্টিবিদ
আরও পড়ুন : রাতে না খেলে কমবে ওজন! জানুন পুষ্টিবিদের মত
আমাদের শরীর কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক করে দেয় চিনি বেশি খাওয়া হচ্ছে কি না। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝবেন, আপনি হয়তো নিয়মিতই অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন।
চিনি দ্রুত হজম হয়, তাই খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরেই আবার ক্ষুধা লাগে। মস্তিষ্ক চিনিকে ‘পুরস্কার’ হিসেবে দেখে, তাই খেলে খেতে ইচ্ছে করে আরও!
চিনি প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্লাইকেশন নামক প্রক্রিয়ায় ত্বকের কোষে সমস্যা তৈরি করে। এতে ব্রণ, প্রদাহ এবং চামড়ার দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
চিনিযুক্ত খাবারে খালি ক্যালরি থাকে, যা পুষ্টি না দিয়ে ওজন বাড়ায়। নিয়মিত অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্থূলতার অন্যতম কারণ।
চিনি বদহজম এবং গ্যাস উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার খাবার। ফলে চিনি খেলে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি হতে পারে।
চিনির সাথে থাকা ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এনামেল নষ্ট করে। ফলে দাঁতে গর্ত (cavity) বা ব্যথা হতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে, যার ফলে আপনি ঘন ঘন অসুস্থ হতে পারেন— বিশেষ করে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি বা ফ্লুতে।
প্রথমে চিনি শক্তি দিলেও খুব দ্রুত তা কমে যায়। এতে সারাদিন ঝিমঝিম ভাব বা ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
চিনিতে অভ্যস্ত হলে প্রাকৃতিক মিষ্টি (যেমন ফল) আর তেমন মিষ্টি লাগে না। এতে খাওয়া-দাওয়ার স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়।
নিয়মিত অতিরিক্ত চিনি খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, চোখে ছানি, স্মৃতিভ্রষ্টতা, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায়।
- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি বাদ দিন
- সোডা, মিষ্টি পানীয়, কেক-পেস্ট্রি এড়িয়ে চলুন
আরও পড়ুন : ভাতের সঙ্গে কাঁচামরিচ খাওয়া কি সত্যিই উপকারী? জানালেন পুষ্টিবিদ
আরও পড়ুন : পাঙাশ মাছ কি সত্যিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
- প্রাকৃতিক উৎস যেমন ফল বা মধু বেছে নিন
- প্রতিদিন কত গ্রাম চিনি খাচ্ছেন, খেয়াল করুন
- সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন
সূত্র : মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এভরিডে ডেইলি
মন্তব্য করুন