

শীতের সকাল মানেই কুয়াশা, হালকা ঠান্ডা আর একরকম শান্ত পরিবেশ। এই আবহাওয়া অনেকের ভালো লাগলেও হার্টের রোগীদের জন্য শীত হতে পারে একটু ঝুঁকিপূর্ণ সময়। ঠান্ডা পড়লে শরীর নিজেকে গরম রাখতে বেশি কাজ করে, আর এর প্রভাব পড়ে সরাসরি হৃৎপিণ্ডের ওপর।
যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য তাই শীতকালে একটু বেশি সচেতন থাকা খুব জরুরি। চলুন জেনে নেই, শীতে হার্টের রোগীরা কীভাবে সহজ কিছু নিয়ম মেনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
ঠান্ডা লাগলে শরীরের রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়, যাতে শরীরের ভেতরের তাপ ঠিক থাকে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হার্টকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা না হলেও, হার্টের রোগীদের জন্য এটি অ্যাঞ্জাইনা, শ্বাসকষ্ট বা এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই শীতে বাড়তি সাবধানতা খুবই প্রয়োজন।
শীতে বাইরে গেলে গরম কাপড় পরুন। একাধিক লেয়ার পোশাক ব্যবহার করুন। মাথা, হাত ও পা ভালোভাবে ঢেকে রাখা জরুরি, কারণ এই অংশগুলো থেকে তাপ দ্রুত বেরিয়ে যায়। অপ্রয়োজনে দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকবেন না।
ঠান্ডার সময় ভারী কাজ করলে হার্টের ওপর হঠাৎ চাপ পড়ে। তাই, ভারী জিনিস তোলা এড়িয়ে চলুন ও খুব দ্রুত হাঁটা বা দৌড়াবেন না। এছারাও বরফ বা ভারী কিছু পরিষ্কার করা থেকে দূরে থাকুন। হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের কাজ খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
গরম কাপড় পরে হাঁটাহাঁটি বা কাজ করলে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে ঘামতে পারে। এতে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যেতে পারে, যা হার্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। ঘামতে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নিন বা ঘরের ভেতরে চলে আসুন।
শীতে ফ্লু হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ফ্লু হলে জ্বর ও সংক্রমণ হার্টকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে। তাই হার্টের রোগীদের জন্য ফ্লু শট নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লুর উপসর্গ দেখা দিলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অনেকে ঠান্ডায় অ্যালকোহল খেলে শরীর গরম হয় বলে মনে করেন, কিন্তু এটি ভুল ধারণা। অ্যালকোহল শরীরের তাপ দ্রুত বের করে দেয় এবং হার্টের জন্য ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে শীতে হার্টের রোগীদের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ।
সূত্র : ভেরিওয়েল হেলথ
মন্তব্য করুন