মাথাব্যথা অনেকেরই পরিচিত সমস্যা। কিন্তু সব মাথাব্যথা এক ধরনের নয়। বিশেষ করে ‘মাইগ্রেন’ নামক মাথাব্যথা সাধারণ মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই আলাদা।
আরও পড়ুন : সারাদিন সতেজ থাকতে সকালে করুন এই সহজ ব্যায়াম
আরও পড়ুন : সবসময় ক্লান্ত লাগে? সহজ সমাধান বিট কেভাস
এ নিয়ে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনসুর আলী। নিচে তুলে ধরা হলো মাইগ্রেন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
- মাথার একপাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা (বিশেষ করে বাম পাশ বা পিছনে)
- ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, দৃষ্টির সমস্যা, আলো-আবেগে সংবেদনশীলতা
- অতিরিক্ত ঘাম বা ঠান্ডা লাগা
- মনোযোগহীনতা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া
- একাধিক উপসর্গ একসঙ্গে দেখা যেতে পারে
- মাইগ্রেনের সম্ভাব্য কারণ
- মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যক্রম (স্নায়ু ও রক্তনালিতে প্রভাব)
- ঘুমের ঘাটতি বা অনিয়মিত ঘুম
- হরমোন পরিবর্তন, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র চলাকালীন
- মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা হঠাৎ শারীরিক ধকল
- খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, যেমন পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত চা/কফি, ফাস্টফুড
- পরিবেশগত পরিবর্তন, যেমন রোদ-ছায়া, গরম-ঠান্ডা পরিবেশের হঠাৎ পরিবর্তন
নিচের যে কোনো লক্ষণ থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন :
- ঘন ঘন বা তীব্র মাথাব্যথা
- এক মাসে ৫ বারের বেশি মাইগ্রেন অ্যাটাক
- বমি বমি ভাবসহ তীব্র মাথাব্যথা
- মুখ বা হাত অবশ হওয়া (প্যারালাইসিস)
- কথা জড়ানো বা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া
- তীব্র জ্বরসহ মাথাব্যথা বা আগে না হওয়া ব্যথার নতুন ধরন
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো
- অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম
- অতিরিক্ত আলো বা শব্দ এড়িয়ে চলা
- গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় সরাসরি না যাওয়া
- নিয়মিত পানি পান
আরও পড়ুন : যে অভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস করছে আপনার মস্তিষ্ক
আরও পড়ুন : গ্যাসের সমস্যায় স্বস্তির কিছু ঘরোয়া উপায়
- মাথায় ঠান্ডা পানি বা কাপড় ব্যবহার করা
- স্ক্রিন টাইম (মোবাইল/কম্পিউটার) কমানো
- সময়মতো খাওয়া, খাবারে নিয়ম মেনে চলা
মনে রাখবেন, মাইগ্রেনের নির্দিষ্ট ও স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও নিয়ম মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুরু থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে মাইগ্রেন দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন