কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

‘হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের কেনাবেচা হয়, টাকা-পয়সার লেনদেন হয়’

সকালে ঢাকা শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
সকালে ঢাকা শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে কেনাবেচা হয়, তাদের নিয়ে টাকা-পয়সার লেনদেন হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় কোনো রোগী যখন হাসপাতালে যায় তখন সিট খালি না থাকলেও জরুরি বিভাগে রেখে যে কোনোভাবেই হোক চিকিৎসা দেওয়া উচিত। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে কেনাবেচা হয়, তাদের নিয়ে টাকা-পয়সার লেনদেন হয়। এমন খবরে আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। অনেক সময় দেখা যায় রোগীর চাপে হাসপাতালে বেড ফাঁকা থাকে না। তখন যদি কোনো মুমূর্ষু রোগী আসে তাকে ইমার্জেন্সিতে রেখে মানবিকতার দৃষ্টি দিয়ে হলেও চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি এখানে সিন্ডিকেট রয়েছে। বিভিন্ন সময় এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা রোগীদের কাছ থেকে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এখান সিট ফাঁকা নেই বলে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে পাঠিয়ে দেয়। খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি, এখানকার প্রশাসনিক কিছু লোক এবং আনসারই এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি। আমরা এই ব্যাপারটিই বলব, এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে তেমন কোনো জায়গা বা অবস্থা দেখতে পাইনি। তবে যেহেতু হাসপাতালের ভেতরে বেশি কিছু স্থানে উন্নয়নমূলক সংস্কার কাজ চলছে সেখানে হয়তো পানি জমে থাকতে পারে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলব তারা যেন সবসময় রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবেশটাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন।’

এ সময় ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের এখানে ৬০০-এর অধিক বেড রয়েছে। তার মধ্যে ১০০ বেড স্পেশাল কেয়ারিং। আপনারা যে মুমূর্ষু রোগীর কথা বলছেন আমাদের এখানে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। যে কোনো মুমূর্ষু রোগী এলে তাকে প্রথমে জরুরি বিভাগে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। ঠিক মতো স্যালাইন দিতে হবে। তারপর একান্তই বেড খালি না থাকলে সরকারি হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তা ছাড়া আমরা তো পারি না যে ইনস্ট্যান্ট একটি বেড তৈরি করতে বা এক বেডে দুজনকে রেখে চিকিৎসা দিতে।’

এর আগে, সকালে ১১টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদসহ একটি টিম ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নিয়ে কথা বলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিশু পুষ্টিতে শাকসবজির গুরুত্ব নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৮ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ফ্যাসিস্ট পালালেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া দেশ থেকে যায়নি : জামায়াত আমির

দীর্ঘদিনের কাশি? কখন ফুসফুস পরীক্ষা করাবেন জানুন

শ্রমিকদের চা খেতে দেওয়া তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’, যা বললেন বক্তারা

ভালোবাসার এক বছর 

নারায়ণগঞ্জে মার্কেটে আগুন, পুড়ে গেছে ৩০ দোকান

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শেখ হাসিনা যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কিনা জানালেন জয়শঙ্কর

১০

কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের

১১

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

সিএমপি বন্দর থানার নতুন ওসি আব্দুর রহিম, বাকিরা যেখানে

১৩

তর্কে জড়ানো সেই চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ

১৪

বিশ্বকাপজয়ী বিধ্বংসী ব্যাটারকে দলে ভেড়াল রংপুর

১৫

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৯০ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ

১৬

বাতের ব্যথার ধরন, উপসর্গ ও যত্ন জানালেন বিশেষজ্ঞ

১৭

ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিসর ও কাতারসহ ৮ মুসলিম দেশের

১৮

আপনার জিমেইল হ্যাকড হয়েছে কিনা যাচাই করুন এখনই

১৯

কর্মসূচি স্থগিত, বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

২০
X