

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত শহিদুল ইসলাম মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলার দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া চেকপোস্ট দিয়ে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জীবননগর থানা পুলিশের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মকবুল হাসান, জীবননগর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) রিপন কুমার দাস। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গয়েশপুরসহ আশপাশের গ্রামের ১০-১২ জন ভারত থেকে মাদক আনতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ফেরার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় সবাই পালিয়ে গেলেও শহিদুল গুলিবিদ্ধ হন।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট সুজিত কুমারের বরাত দিয়ে বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, গত ২৯ নভেম্বর মাদক নিয়ে ফেরার সময় দুজন বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্ত খুঁটি ৭০ থেকে ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে থামতে বলা হয়। কিন্তু তারা হাসুয়া দিয়ে বিএসএফের ওপর চড়াও হলে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে বিএসএফের পক্ষ থেকে শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পরে ওই দিন রাত ৮টার সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয় শহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর জীবননগরে গয়েশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন শহিদুল। তিনি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের নস্কর আলীর ছেলে।
মন্তব্য করুন