সুগন্ধি মশলা হিসেবে দারুচিনির জনপ্রিয়তা সব সময়েই। মাছ, মাংস রান্না হোক বা পাঁচমিশালি তরকারি, খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে এই মশলার কোনো তুলনা নেই। তবে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, এই মশলার স্বাস্থ্যগুণও অনেক। বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর দারুচিনি।
দারুচিনি ভেজানো পানি প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে মেদও ঝরবে, পাশাপাশি দূর হবে বেশ কিছু রোগ-ব্যাধি। জেনে নিন ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ায় দারুচিনির পানি কীভাবে কাজ করে।
মেটাবলিজম বাড়ায়
দারুচিনি মেটাবলিজম বা বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যালোরিও বার্ন করে। যার ফলে ওজন দ্রুত কমে।
রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়
রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনি। দারুচিনি খেলে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এ ছাড়াও, দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগ। যা সরাসরি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
খিদে কমায়
দারুচিনির পানি ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। যার ফলে খিদে কম পায় এবং শরীরে বেশি ক্যালোরিও যেতে পারে না।
হজমশক্তি বাড়ায়
পেটের বিভিন্ন সমস্যার উপশমেও দারুচিনি কার্যকর। সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি পানে বদহজম, গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে। হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে এই মশলা। ফলে দ্রুত ওজন কমে।
প্রদাহ কমায়
শরীরে যে কোনোও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনোও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে লাভ হতে পারে দারুচিনি খেলে। প্রদাহ-বিরোধী গুণাবলির কারণে, দারুচিনি শরীর সুস্থ রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
দারুচিনির পানি কীভাবে তৈরি করবেন?
উপকরণ- একটি দারুচিনি স্টিক বা এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া, এক থেকে দেড় লিটার পানি।
প্রণালী- চুলায় পানি বসিয়ে ফুটতে দিন। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে দারুচিনি দিয়ে মিনিট পনেরো ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ছেঁকে পান করুন।
দারুচিনির পানি ঠান্ডা করেও পান করা যায়, আবার ঈষদুষ্ণ অবস্থায়ও খেতে পারেন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস বা এক চা চামচ মধু মেশাতে পারেন।
মন্তব্য করুন