প্রকৃতিতে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে। এর প্রভাবে কলাপাড়াসহ গোটা দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে আছে। তিন দিন ধরে থেমে থেমে গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ঝড়েছে।
আর বুধবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়ায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে জনজীবনে থমকে গেছে দৈনন্দিন কাজের গতি, নেমে এসেছে স্থবিরতা। ফলে পায়রা বন্দরকে আজও তিন নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর প্রভাবে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট। বিভিন্ন নিচু স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নদনদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃষ্টি পেয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির মানুষ। তবে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নিত্য খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
এদিকে তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আমনের ক্ষেত। পচে যাওয়ার শঙ্কায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আমন চাষিসহ মৌসুমি সবজি চাষিদের কপালে।
তবে আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কলাপাড়া পৌর শহরের ভ্যানচালক নাজমুল জানান, গত তিন দিন আমাদের এদিকে বৃষ্টি পড়ছে। তবে বুধবার রাত থেকে একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এ কারণে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শহরে মানুষজনের আনাগোনা কম থাকায় মালপত্র বিক্রিও নেই।
লঞ্চঘাট এলাকার পান বিক্রেতা ধীরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘বৃষ্টির কারণ বাজারে মানুষ আসছে না। তাই বিক্রি কমে গেছে।’
মহিপুর সদর ইউপির বিপিনপুর এলাকার চাষি শাহআলম জানান, শুধু আমার নয়, এলাকার অনেক কৃষকের আমনের বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে এখন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বীজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, আগামী ৫ দিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এবং দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন