সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ শেষে নিজের ঘরে ফিরেই একটু শান্তি খুঁজে পাই আমরা। কিন্তু ঘরে ঢুকে যদি দেখি চারদিকে এলোমেলো জিনিসপত্র, বিছানায় কাপড়ের স্তূপ— তাহলে সেই শান্তি আর টিকে না। ব্যাচেলরদের জন্য বা যারা একা থাকেন— এই অবস্থা খুবই পরিচিত।
তবে কিছু ছোট অভ্যাস আর বুদ্ধি খাটিয়ে ঘরটাকে রাখা যায় বেশ গোছানো। চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু সহজ টিপস।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন
বিছানায় একগাদা বালিশ, দুই-তিনটা চাদর বা শীতকাল শেষে ফেলে রাখা কম্বল— এসবই অগোছালো করে তোলে ঘর। যত কম জিনিস বিছানায় থাকবে, গুছিয়ে রাখা তত সহজ হবে। তাই যা প্রয়োজন নয়, তুলে রাখুন বা সরিয়ে ফেলুন।
ঘুম থেকে উঠে বিছানাটা গুছিয়ে ফেলুন
অনেকেই সকালে উঠে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমে ছুটে যান। ওয়াশরুম থেকে ফিরে বিছানাটা গুছিয়ে ফেলা অভ্যাসে আনুন। চাদর ঠিক করে দিন, বালিশ সাজিয়ে দিন— ব্যস! মাত্র ২ মিনিট সময় নেবে, কিন্তু ঘরটা দেখাবে অনেক পরিপাটি।
সপ্তাহে একদিন ‘ঘর পরিষ্কার’ দিন রাখুন
প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু, মোছামুছি করা সম্ভব নয়, সেটা একেবারে স্বাভাবিক। তবে সপ্তাহে বা অন্তত মাসে দুদিন রাখুন ঘর ঝাঁট দেওয়া, ধুলা মোছা, বিছানার চাদর বদলানোর জন্য। এতে ঘরে ময়লা জমে থাকবে না।
কাপড় বিছানায় নয়, হ্যাঙ্গারে রাখুন
অনেকেই পরা বা না-পরা কাপড় বিছানায় বা চেয়ারে রেখে দেন। এতে খুব অগোছালো দেখায়। তাই এক কাজ করুন— একটা লন্ড্রি ব্যাগ কিনে নিন বা কিছু হ্যাঙ্গার লাগিয়ে ফেলুন। যেটা ঝুলিয়ে রাখা যায়, ঝুলিয়ে দিন। যেটা ধোয়ার দরকার, ব্যাগে ফেলুন।
জরুরি জিনিসের জন্য আলাদা জায়গা রাখুন
ওষুধ, কাগজপত্র, চাবি— এসব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই বিছানার পাশে ছোট একটা টেবিল বা ড্রয়ার রাখুন। এতে জিনিসগুলো হাতের কাছেও থাকবে, আবার ঘরও দেখাবে পরিচ্ছন্ন।
ঘর পরিষ্কার রাখতে বড় কোনো ঝামেলা করতে হবে না। শুধু কিছু ছোট অভ্যাস আর নিয়ম মানলেই চলবে। আর মনে রাখবেন, পরিপাটি ঘর শুধু দেখতেই ভালো লাগে না, মনটাকেও ফ্রেশ রাখে।
নিজেকে ভালো রাখতে হলে নিজের আশপাশটাও ভালো রাখতে হয়— এই ছোট্ট চিন্তা থেকেই শুরু হোক গোছানো জীবনের যাত্রা।
সূত্র : রিয়্যাল সিম্পল
মন্তব্য করুন