সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসা, সম্মান আর পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিকল্প নেই। কিন্তু কখনো কখনো আমরা টেরই পাই না, সঙ্গী যেন আর আগের মতো নেই। কথা কমে যায়, মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়, একসঙ্গে থাকলেও মনে হয় যেন দূরত্ব বাড়ছে।
আরও পড়ুন : বিচ্ছেদের পথে থাকে যেসব ছোট ছোট কারণ
আরও পড়ুন : সঙ্গীর কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া শুধু অভিমান নয়, হতে পারে মানসিক নির্যাতন
মনোবিদদের মতে, কেউ যখন তার সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারাতে শুরু করে, তখন কিছু আচরণে সেটা প্রকাশ পায়। আপনি যদি এমন কিছু লক্ষণ খেয়াল করেন, তাহলে সম্পর্ক নিয়ে সময় থাকতে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি।
চলুন দেখে নিই সেই লক্ষণগুলো কী কী।
মানসিক কিংবা শারীরিক ঘনিষ্ঠতা একটি সুস্থ সম্পর্কের স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু যদি সঙ্গী আপনাকে এড়িয়ে চলে, একসঙ্গে সময় কাটাতে না চায়, বা ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে দূরে সরে যায়— তবে সেটা হতে পারে আগ্রহ কমে যাওয়ার লক্ষণ। এমন অবস্থায় দুজন মিলে কথা বলাই সবচেয়ে ভালো।
আপনার সঙ্গী সব কিছুতে ব্যস্ত, কিন্তু আপনাকে সময় দেয় না? ছোট ছোট কাজেও আপনাকে ভুলে যায়, অথচ অন্যদের ব্যাপারে বেশ সচেতন? এই আচরণগুলো ইঙ্গিত দিতে পারে— আপনার গুরুত্ব তার কাছে কমে যাচ্ছে।
সম্পর্কে সময় দেওয়া খুবই জরুরি। কেউ যখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তখন আপনি চাইলেও সে সময় দিতে চায় না। ‘ব্যস্ত আছি’ বলে এড়িয়ে যায় বারবার। কিন্তু একজন মানুষ চাইলে সময় বের করতেই পারে— ব্যস্ততার অজুহাত সব সময় সত্যি নয়।
সারাদিন আপনি তার কথা ভাবলেন, কিন্তু সে জানতেই চায় না আপনি কী করলেন, কী খেলেন, কেমন আছেন। এমন উদাসীনতা মানসিক দূরত্বের বড় ইঙ্গিত হতে পারে। সম্পর্কের টান থাকলে খোঁজ নেওয়া স্বাভাবিক— যেটা হারিয়ে যাচ্ছে মানে কিছু একটা বদলাচ্ছে।
আপনি যদি দেখেন সঙ্গী আপনাকে প্রায়ই ছোট করে কথা বলছে, আপনার ভুল না থাকলেও আপনাকেই দোষারোপ করছে, এমনকি অন্যদের সামনে আপনাকে অপমান করছে— তবে এটি শুধু আগ্রহ হারানোর নয়, একধরনের মানসিক নিপীড়নও। এটি নিয়ে অবশ্যই সচেতন হওয়া দরকার।
আপনি কী পরলেন, কী বললেন, কী করলেন— সব কিছুতেই যেন তার বিরক্তি। আগে যা নিয়ে হাসাহাসি হতো, এখন সেগুলোতেই ঝগড়া বাধে? এটা খুবই স্পষ্ট ইঙ্গিত হতে পারে যে, সে আর আগের মতো আপনার প্রতি আগ্রহী নয়।
এই লক্ষণগুলো একসঙ্গে বা আলাদাভাবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু মানে এই নয় যে সম্পর্ক শেষ। সময় থাকতে খোলাখুলি কথা বলা, একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া বা নিজেকে সময় দেওয়া— এই পদক্ষেপগুলো সম্পর্ককে আবার প্রাণ দিতে পারে।
আরও পড়ুন : একাকিত্বে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি—সাবধান হোন সময় থাকতেই
আরও পড়ুন : মা-বাবাকে দেখেই শেখে শিশুরা
মনে রাখুন, সম্মান আর আন্তরিকতা ছাড়া কোনো সম্পর্কই টিকে না। নিজেকে ভালোবাসুন এবং সাহস করে নিজের অনুভূতির মূল্য দিন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন