হঠাৎ হাঁটু, পায়ের পাতা বা আঙুলের জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়েছে? এমনটা হলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমতে থাকলে সেটা বাত বা গাউটের মতো জটিল সমস্যায় রূপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন : ওজন কমাতে গিয়ে ঝুলে যাচ্ছে ত্বক? সমাধান কী
আরও পড়ুন : এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়তে সাহায্য করে সন্তানের উচ্চতা
অনেকেই ভাবেন ইউরিক অ্যাসিড কমাতে বুঝি শুধু ওষুধই ভরসা। কিন্তু খাবারদাবারের একটু যত্ন নিলেই ওষুধ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। বিশেষ করে কিছু ড্রাই ফ্রুটস বা বাদাম জাতীয় খাবার এই কাজে দারুণ উপকারী।
চলুন জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে এমন ৫টি শুকনো ফল সম্পর্কে—
আখরোটে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে কাজ করে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়— আখরোট সেই ব্যথা কমিয়ে দেয়। নিয়ম করে খেলে ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কাজুতে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ভালো রাখে। এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ইউরিক অ্যাসিডও বাড়তে দেয় না। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে।
পেস্তা শুধু ইউরিক অ্যাসিড কমায় না, হজমেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটেইন ও জিক্সানথিন, যা দৃষ্টিশক্তিও ভালো রাখে। প্রতিদিন এক মুঠো পেস্তা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কাঠবাদাম অনেকের প্রিয় খাবার, আর তা শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টির দিক থেকেও খুবই উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়ামসহ অনেক দরকারি উপাদান। নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং গাঁটের ব্যথাও কমে।
খেজুরে আছে প্রচুর ফাইবার, পটাসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। খেজুর হজম ভালো করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২-৩টি খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন : একাকিত্বে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি—সাবধান হোন সময় থাকতেই
আরও পড়ুন : হৃদয় ভালো রাখতে নিয়মিত খান এই ৫ সবজি
ওষুধের চেয়ে জীবনযাত্রা আর খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণই বেশি কাজে দেয় ইউরিক অ্যাসিড কমাতে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই উপকারী বাদাম-ফলগুলো রাখুন। ব্যথার ভয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, আজ থেকেই শুরু করুন সচেতন জীবন।
সূত্র : ইটিং ওয়েল
মন্তব্য করুন