শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
লাইভ

জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অনিশ্চয়তায় এবং প্রশাসনিক স্থবিরতায় যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই আজ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমে বাজেট বক্তব্য একযোগে প্রচার করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Image
আপডেট: ৪১

০৩ জুন, ২০২৫

জন ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি : অর্থ উপদেষ্টা

জন ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি : অর্থ উপদেষ্টা
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টাসহ অন্যরা। ছবি : সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা একটি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি। অনেকে বলছে তোমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছ। হুট করেই যে আমরা একটা বিপ্লবী বাজেট দিয়ে দেব, সেটা তো সম্ভব না। বাজেটে একেবারে যে ইনোভেশন নেই, তা কিন্তু নয়। গতকাল বাজেট দিয়েছি, এটা ওপেন থাকবে। কিছু সাজেশন আসবে। পরবর্তীতে ফাইনাল বাজেটটা আসবে। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সার্বিকভাবে আমি মনে করি চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। একটু কোলাবোরেটিভ, সিমপেথেটিক হয়ে কাজ করবেন; সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। 

এর আগে, সোমবার (০২ জুন) রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে এবারের বাজেট। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন। 

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা।

০২ জুন, ২০২৫

পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাল ডিএসই

পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাল ডিএসই
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব বাজেট উল্লেখ করে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সোমবার (২ জুন) ডিএসই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানায়, প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম অর্থ উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে মমিনুল ইসলাম ধন্যবাদ জানান। ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার হ্রাস এবং লেনদেনের উপর উৎসে কর হ্রাস ইত্যাদি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট-এর উপর ধার্য অ্যানুয়াল মেইনটেন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করেছে এবং সিসি একাউট-এ অর্জিত সুদ-এর ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যয়ের জন্য ইনভেস্টর্স প্রটেকশন ফান্ডে জমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে অর্জিত ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনি আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত রাখার বিধান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকার উপরে মূলধনি আয়ের উপর কর ১৫ শতাংশে হ্রাস করো পুঁজিবাজারের উন্নয়নসহায়ক এসকল নীতিমালা পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের মালিকানা রয়েছে এমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে সরকারের শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তকরণ, বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে বলে ডিএসই-র চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সকল ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য ডিএসই-র চেয়ারম্যান বিএসইসি এবং এনবিআরের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের প্রত্যাশাগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকা রাখার জন্য ডিএসই'র চেয়ারম্যান বিশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে।

একই সাথে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সময়োপযোগী দিক নির্দেশনার জন্য ডিএসই-র চেয়ারম্যান গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেশের ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী ও টেকসই হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে বলে ডিএসই বিশ্বাস করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে পুঁজি করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

০২ জুন, ২০২৫

স্বরাষ্ট্রের সুরক্ষা সেবা বিভাগে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব

স্বরাষ্ট্রের সুরক্ষা সেবা বিভাগে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

ঘোষিত বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তুব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) ঘোষিত বাজেটে এই বিভাগের জন্য ৪ হাজার ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে এই বিভাগে বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল ৪ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। এতে ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ কমেছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে কারাগার, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রয়েছে।

এবারের বাজেটে কারা অধিদপ্তরের জন্য ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ঘোষিত বাজেটে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

অবশ্য এবারের বাজেটে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা ও জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ প্রকল্প এবং নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

এছাড়াও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে এবার অন্তত ২শ’ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পাসপোর্টে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। সোমবার ঘোষিত বাজেটে এই খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। যদিও এবার ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে এবার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৯৩ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৮৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার এই খাতে অন্তত ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবারের বাজেটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে।

ঘোষিত বাজেটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জন্য এবার ৩৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৩৩৩ কোটি টাকা। এই খাতেও সামান্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এবার ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

০২ জুন, ২০২৫

জননিরাপত্তায় বরাদ্দ বেড়েছে ১২৫ কোটি টাকা

জননিরাপত্তায় বরাদ্দ বেড়েছে ১২৫ কোটি টাকা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে জননিরাপত্তা খাতে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার এই খাতে ২৭ হাজার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই প্রস্তাব ছিল ২৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল। যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছিল ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।

সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাবের ২৭ হাজার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মধ্যে পুলিশ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা ছিল ১৭ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিব) এর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, বিদায়ী অর্থবছরে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। 

দেশের উপকূল রক্ষার দায়িত্বে থাকা কোস্ট গার্ড বাহিনীর জন্য এবারের বাজেটে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এই বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫১ কোটি টাকা।

এদিকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য এবারের বাজেটে ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। বিদায়ী অর্থ বছরে বাহিনীটির জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

গত তিনটি বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি অর্থবছরেই সরকার জননিরাপত্তায় বাজেট বাড়িয়েছে, এবারের ঘোষিত বাজেটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে জননিরাপত্তায় ২২ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, পরের বাজেটে  ২৫ হাজার ১২৫ কোটি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ছিল ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।

এবারের বাজেট প্রস্তাবে জননিরাপত্তা বিভাগে বরাদ্দ করা টাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা, সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মান, সাইবার অপরাধ দমন ও সাইবার সক্ষমতা বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন এলাকায় থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মান নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, র‌্যাব ফোর্সেসের সদর দপ্তর নির্মান, আভিযানিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং সংস্থাটির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে খরচ করা হবে।

এ ছাড়াও বিজিবির জন্য সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ, বিজিবির নবসৃষ্ট নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন ও গাজীপুর ব্যাটালিয়নের (৬৩ বিজিবি) অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মান, কোস্টগার্ডের জন্য লজিস্টিক ফ্লিট মেইনটেন্যান্স গড়ে তোলা এবং উপকূল রক্ষার দায়িত্বে থাকা বাহিনীটির সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিস্থাপক জাহাজ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য বরাদ্দ টাকা অন্যান্য ব্যয়ের সঙ্গে বাহিনীর অস্ত্রগার (প্রথম পর্যায়ে ৪০) নির্মানে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।  

০২ জুন, ২০২৫

গতানুগতিক বাজেট, উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই : ইসলামী আন্দোলন

গতানুগতিক বাজেট, উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই : ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের চরিত্র ও ধরন দেখে একে গতানুগতিক ধারার রক্ষণশীল বাজেট বলেই মনে হচ্ছে। 

সোমবার (০২ জুন) বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বাজেটের আকার, আয়-ব্যয়, এডিপি ও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে অতীতের সক্ষমতা, এডিপি বাস্তবায়নে জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে এবং দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতি বিবেচনায় এমন রক্ষণশীল বাজেট প্রত্যাশিত ছিল। কারণ বাস্তবতা উপেক্ষা করে উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রস্তাব করা ধূর্ত রাজনৈতিক সরকারের চরিত্র। যে কাজ পতিত স্বৈরাচার বারবার করে এসেছে। সে ধারা অনুসরণ না করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তবে বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন খাতের ওপরে গণযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতকে প্রাধান্য দেওয়ার মতো অতীতের ধারা অব্যাহত রাখায় এই বাজেটকে গতানুগতিক বলেই মনে হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকারের কাছে আরও সুচিন্তিত ও বৈপ্লবিক বাজেট প্রত্যাশা করা হয়েছিল; এই বাজেট সে প্রত্যাশাকে আঘাত করেছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার অর্থ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া। এ সরকারের কাছে এটা প্রত্যাশিত ছিল না। পাচারকৃত টাকা আদায়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সামগ্রিকভাবে এই বাজেট অর্থনীতিকে শ্লথ করবে এবং জনজীবনের দুর্দশা লাঘবে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু নেই।

০২ জুন, ২০২৫

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ১০ হাজার সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাক্কলন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের অবদান প্রায় ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এই সম্ভাবনাময় খাতের বিকাশে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে নতুন বাজেটে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তিন বছরে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পরিকল্পনা বাজেট বক্তৃতায় জানানো হয়, আগামী তিন অর্থ বছরের মধ্যে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, ২৫ হাজার উদ্যোক্তাকে দক্ষতামূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে এসএমই প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ও সেলস সেন্টার স্থাপন করা হবে।

আঞ্চলিক মেলা, কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ ও ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা জেলা শহরগুলোতে আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের প্রচার ও বিপণন বাড়ানো হবে। সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা উদ্যোক্তা শনাক্তকরণ ও সহায়তা প্রদান সহজ করবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৩ হাজার নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে কর্পোরেট ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপন করা হবে, যাতে তারা বড় পরিসরে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন।

০২ জুন, ২০২৫

প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ কমেছে ১৪৬৪ কোটি

প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ কমেছে ১৪৬৪ কোটি
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় এক হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে ৩.৪৫ শতাংশ।

সোমবার (২ জুন) বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপন করা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এ প্রস্তাব রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এতে প্রতিরক্ষার জন্য পরিচালন ব্যয় বাবদ ৩৯ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১৬ কোটি টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে, সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন, ঢাকা সিএমএইচে ক্যানসার সেন্টার নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব), মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন, বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক চট্টগ্রাম বিমান সেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (১ম সংশোধিত), বা বি বা ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর এলাকার এডিসিসি নর্থ স্থাপন, ডিজিএফআইর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন (টিআইএইচডিটিসিবি) (২য় সংশোধিত), ইলেক্ট্রনিক ডিফেন্স প্রকিউরিমেন্ট (ই-ডিপি) সিস্টেম (২য় সংশোধিত), জিএনএসএর করসের নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডল স্টেশন আধুনিকীকরণ (১ম সংশোধিত), বাংলাদেশের উপজেলাগুলোর ডিজিটাল মানচিত্র (টপোগ্রাফিক) প্রণয়ন এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যাবলি

বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের স্থলসীমা, জলসীমা, আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা সংক্রান্ত কার্যাবলি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বাজেট ব্যবস্থাপনা, আইন ও বিধি-বিধান সংক্রান্ত কার্যাবলি এবং পূর্ত কার্যক্রমগুলো সামরিক ভূমি ব্যবস্থাপনা, সাইফার দলিল-দস্তাবেজ প্রস্তুতকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ ও পর্যালোচনা, দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ও তদারকি, মহাকাশ গবেষণা, ভূ-উপগ্রহ প্রেরণ-সংক্রান্ত গবেষণা ও কার্যক্রম এবং জরিপ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনা ও সামগ্রিক তত্ত্বাবধান।

০২ জুন, ২০২৫

বিজিবির জন্য বরাদ্দ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা

বিজিবির জন্য বরাদ্দ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা
বিজিবির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর জন্য ৪ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থ বছরে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশের উপকূল রক্ষার দায়িত্বে থাকা কোস্ট গার্ড বাহিনীর জন্য এবারের বাজেটে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫১ কোটি টাকা।

বাজেট প্রস্তাবনায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বিজিবির জন্য সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ এবং বিজিবির নবসৃষ্ট নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন ও গাজীপুর ব্যাটালিয়নের (৬৩ বিজিবি) অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।

এদিকে কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিক ফ্লিট মেইনটেন্যান্স গড়ে তোলা এবং বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিস্থাপক জাহাজ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই বাজেট ঘোষণা করেন। ঘোষিত বাজেটে জননিরাপত্তা বিভাগে ২৭ হাজার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এই প্রস্তাব ছিল ২৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের। যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছিল ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। বিজিবি ও কোস্ট গার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।

০২ জুন, ২০২৫

জুনের মধ্যে আরও ৩.৬ বিলিয়ন বাজেট সহায়তার আশা

জুনের মধ্যে আরও ৩.৬ বিলিয়ন বাজেট সহায়তার আশা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে আরও প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করছে সরকার।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনায় মধ্য মেয়াদি নীতি কৌশলে এ প্রত্যাশার কথা জানান। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি অর্থবছরের জুন নাগাদ আমরা বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর নিকট থেকে আরও প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাব মর্মে প্রত্যাশা করছি।

বাজেট বক্তৃতায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমদানির তুলনায় রপ্তানিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ক্রমাগত উন্নতি সাধিত হচ্ছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষে চলতি হিসাবের ঘাটতি হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতি চলমান থাকায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছে এবং এর ফলে প্রকল্পগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত বৈদেশিক ঋণ ছাড়ে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুনের মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১.৩ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা আসতে পারে। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৩টি কর্মসূচির আওতায় আরও ১.৪ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া এআইআইবি ও জাইকার কাছ থেকে আরও ৮১ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ১.২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পেয়েছে।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা এক ধরনের বৈষম্য : সিপিডি

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা এক ধরনের বৈষম্য : সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। ছবি : কালবেলা

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা এক ধরনের বৈষম্য বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ড. ফাহমিদা বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা ঠিক হয়নি। এতে বৈধ পথে উপার্জনকারীদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি হবে। তাছাড়া এই পদক্ষেপে সরকারের খুব বেশি আয় হবে বলে মনে করছে না সিপিডি।

তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে এবারও পেনশন ও কৃষি ভর্তুকি সংযুক্ত রাখা হয়েছে। যা বাদ দিলে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ খুব একটা বেশি নয়। তার মতে, বাজেটের দর্শন, বৈষম্যবিহীন সমাজ। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে তা পুরোপুরি সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।

সিপিডি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কম রাখা উদ্বেগজনক। রাজস্ব জিডিপির দীর্ঘমেয়াদি আকাঙ্ক্ষা নিম্নগামী, সম্পদ আহরণে উপযুক্ত পদক্ষেপ বা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। করমুক্ত আয় তিন লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজারে বৃদ্ধি ভালো পদক্ষেপ। তবে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।

তিনি বলেন, শুল্ক যৌক্তিককরণে কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়বে। কিন্তু এই পদক্ষেপ দরকার ছিল। তবে কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ আরও অনেকে।

০২ জুন, ২০২৫

পুলিশে বরাদ্দ ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা

পুলিশে বরাদ্দ ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে পুলিশ বাহিনীর জন্য ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা ছিল ১৭ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

সোমবার (২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বাজেট ঘোষণা করেন।

বাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা দেওয়া ছাড়াও এই বরাদ্দে ঢাকা মহানগর পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা, সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ, সাইবার অপরাধ দমন ও সাইবার সক্ষমতা বাড়ানোর কাজে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

এবারের বাজেটে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, র‌্যাব ফোর্সেসের সদর দপ্তর নির্মাণ, আভিযানিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং সংস্থাটির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে বরাদ্দ ব্যয়ের কথাও বলা হয়েছে। 

০২ জুন, ২০২৫

দেশের সব বন্দরের বরাদ্দ কমছে

দেশের সব বন্দরের বরাদ্দ কমছে
বন্দর। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের সব স্থল ও নৌ বন্দরের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে পুরো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বরাদ্দ কমানো হয়েছে। 

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বরাদ্দ ছিল ৯৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বরাদ্দ কমিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষেরও বরাদ্দ কমানো হয়েছে। চলতি অর্থবছর বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৮৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। 

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। সেই বরাদ্দ কমিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭৩৫ কোটি ছয় লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ কমেছে ২০০ কোটির বেশি। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৮৮৭ কোটি টাকা। বরাদ্দ কমিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬৪৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

তবে সরকারি নৌযান চালানোর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসির) বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৮৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা চলতি অর্থ বছরে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল। আগামী অর্থবছরের জন্য ৩৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।

০২ জুন, ২০২৫

কমছে সফটওয়্যার আমদানি খরচ

কমছে সফটওয়্যার আমদানি খরচ
সফটওয়্যার। প্রতীকী ছবি

প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান গবেষণার উন্নয়নে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সফটওয়্যার আমদানিতে কমানো হয়েছে শুল্কের পরিমাণ।

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ১০০ কোটি টাকার একটি স্টার্টআপ তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ব্যবসা ও তরুণদের উদ্যোগকে মূলধন সহায়তা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়াও বিজ্ঞান গবেষণাকে গতিশীল করতে সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯২টি প্রকল্পে প্রায় ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিশেষ গবেষণা অনুদান দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে। এর পাশাপাশি, ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ৩০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি স্কুল অফ ফিউচার গড়ে তোলা হয়েছে। ৪৯১টি উপজেলায় ‘উপজেলা সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে তরুণ-তরুণীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

এবারের বাজেটে ডিজিটাল অবকাঠামো ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিস্তার এবং সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা আরও সাশ্রয়ী করতে কর কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশ উৎসে কর কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের টার্নওভার ট্যাক্স ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। 

বাজেটে প্রযুক্তি খাতকে সহায়তায় ডাটাবেজ, অপারেটিং সিস্টেম, ডেভলপমেন্ট টুলস, ডেটা ও তথ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত নিরাপত্তা সফটওয়্যার, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ইন্টারনেট কোলাবরেশন ও প্রেজেন্টেশন টুলসের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে, পাশাপাশি পরিবর্তিত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এছাড়া ২২ ইঞ্চির পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেট নিয়ে ন্যাপের প্রতিক্রিয়া

বাজেট নিয়ে ন্যাপের প্রতিক্রিয়া
ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ইনসেটে ন্যাপের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

বাজেটের আকার কমলেও গুণগত দিক থেকে খুব বেশি পরিবর্তন নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। 

সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। 

তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে জন-আকাঙ্ক্ষা সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বাজেটের আকার কমলেও গুণগত খুব বেশি পরিবর্তন নাই। উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে বরাদ্দ হ্রাস করায় জনগণের ওপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে। 

দলটির নেতারা বলেন, বরাবরের মতো এবারের বাজেটও বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটাতে পারে নাই। বাজেটের আকার আরও ছোট হলে বাস্তবায়ন করা সহজ হতো। প্রকৃতপক্ষে বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, গত ১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কঠিন সংকট ছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল বাজেটই ছিল কল্পনার ফানুস মাত্র। 

তারা বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা, চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ জনগণের উপর চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। তবে, ফ্রিজ, এসির উপর ভ্যাট বৃদ্ধি করায় অনেকটাই সমস্যা সৃষ্টি করবে। বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব ও বয়স্ক, বিধবা ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। তবে, দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মধ্যেবিত্তসহ সাধারণ মানুষের গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুব বেশি কমছে না। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে যা জিডিপির ৩.৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণ ও সুদের বোঝা আরো বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মতো অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। তবে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬.৫০ শতাংশ রাখতে পারলে তা হবে বাজেটের বড় চমক।

তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ফ্যাসীবাদী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব, মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও ন্যায়নীতির নির্বাসন এবং সর্বগ্রাসী লুটপাটের কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরো ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

০২ জুন, ২০২৫

অর্ধেকে নামছে রেলের উন্নয়ন বরাদ্দ

অর্ধেকে নামছে রেলের উন্নয়ন বরাদ্দ
ট্রেন। ছবি : সংগৃহীত

রেলওয়ের অধীনে চলমান বেশ কিছু বড় প্রকল্প এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। আর চলমান বড় কিছু কাজের গতি কমিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে বেশকিছু প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রেলের বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। 

সোমবার (০২ জুন) বাজেট পেশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। 

বাজেটের বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যেখানে চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) রেলওয়ের জন্য সরকারের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৭২৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সেখানে আগামী অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে সাত হাজার ৭১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এ ছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি অর্থবছরে আলাদা করে ৬০০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ কমিয়ে ১৭৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান কালবেলাকে বলেন, আমরা অপ্রয়োজনীয় অনেকগুলো প্রকল্প বাদ দিয়ে দিয়েছি। ট্রেন নেই, রেললাইন দিয়ে কী করব। তাই আপাতত ওসব প্রকল্প চলবে না। অবকাঠামো প্রকল্প বাদ দিয়ে নতুন করে ট্রেনের মান উন্নয়নের জন্য একটা প্রকল্প নেওয়া হবে।

০২ জুন, ২০২৫

স্থানীয় সরকার খাতে ৪২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

স্থানীয় সরকার খাতে ৪২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় সরকার খাতে ৪২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছরে এই খাতে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।

সোমবার (২ জুন) সচিবালয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই প্রস্তাব পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে স্থানীয় সরকার খাতে ৪২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করছি, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল ৪৫ হাজার ২০৫ কোটি টাকা আর সংশোধিত বাজেটে গিয়ে তা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পরিবেশ উন্নয়ন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার আওতায় জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আধুনিক নগর ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন শহরে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপদ পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ও প্রাথমিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সমগ্র দেশের গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানির উৎস নির্মাণ, পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, পানি শোধনাগার স্থাপন, সমগ্র দেশে কমিউনিটি অথবা স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং ভূপৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রতিটি বাড়িকে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় আনার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

০২ জুন, ২০২৫

ব্যতিক্রম শুধু মেট্রোরেলে, বরাদ্দ বেড়ে প্রায় তিনগুণ

ব্যতিক্রম শুধু মেট্রোরেলে, বরাদ্দ বেড়ে প্রায় তিনগুণ
মেট্রোরেল। ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যোগাযোগ খাতের প্রায় সব বিভাগেই কম বেশি বরাদ্দ কমেছে। তবে বড় পরিবর্তন শুধু মেট্রোরেলে। এই খাতে চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় দিগুণ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চলতি সংশোধনী বাজেটের তুলনায় তিনগুণ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনা করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ পেয়েছে ডিএমটিসিএল।

বাজেট নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) ডিএমটিসিএলের জন্য বরাদ্দ ছিল ছয় হাজার ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংশোধনী বরাদ্দ ছিল চার হাজার ৬৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আসন্ন অর্থবছরে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান কালবেলাকে বলেন, বরাদ্দ মানেই খরচ করা নয়। আগের সরকারের সময় যেসব চুক্তি করতে হয়েছে সেগুলো অব্যাহত রাখতে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কাজের দরপত্র আহ্বান করতে হবে। তাই বরাদ্দ রাখা জরুরি। তবে দরপত্রে মূল্য কমানোর কাজ চলমান আছে। মূল্য কমলে বরাদ্দ কমে যাবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এখন মেট্রোরেলে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। মতিঝিলের ট্রেন কমলাপুরে যাওয়ার পথে আছে। সেই সঙ্গে ঢাকায় আরও পাঁচ লাইনে ছয়টি মেট্রোরেলের পথ নির্মাণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

০২ জুন, ২০২৫

কসমেটিকস পণ্যে দাম বাড়বে

কসমেটিকস পণ্যে দাম বাড়বে
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে লিপস্টিক, আইলাইনার, ফেসওয়াশসহ কসমেটিকস পণ্যের আমদানির ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে বিদেশি প্রসাধনী পণ্যে শুল্কায়ন মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। 

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট। সংসদ না থাকায় অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছে।

এ ছাড়াও এবারের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো-

সিগারেট

গত জানুয়ারিতে সিগারেটের বিভিন্ন স্তরে ৫-৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। নতুন বাজেটে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সিগারেটের দাম আরও বাড়বে। 

রড ও স্টিল

নির্মাণ শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল রডের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমদানিতে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ এবং উৎপাদনে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফিক্সড আমদানি শুল্ক বাতিল হলেও, শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে প্রতি টন রডের দাম প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়তে পারে।

এসি-ফ্রিজ

ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারকদের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাজেটে। বর্তমানে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার কারেণে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে ৩ শতাংশের অতিরিক্ত সব আমদানি, নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এতে মোটরসাইকেলের দাম কমেনি বললেই চলে। যদিও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-ভ্যাট কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। 

দেশীয় তৈরি মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে ভ্যাট ২-২.৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে দেশীয় মোবাইল ফোনের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

ব্যাটারি

ব্যাটারিচালিত রিকশার ১,২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১% থেকে ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা এই খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে দাম বাড়তে পারে দেশীয় তৈরি সুতা, ব্লেড, বিদেশি চকলেট, মার্বেল-গ্রানাইট, বিদেশি খেলনা, হেলিকপ্টার, টেবিলওয়্যার ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়তে পারে। 

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় নতুন অর্থবছরের এই বাজেট পেশ করেন তিনি।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক গতি ধরে রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত এবং সাশ্রয়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে আপাতত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়েছে। এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সেই তুলনায় চলতি বছরের বাজেটের আকার কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

বাড়ছে ফ্রিজের দাম

বাড়ছে ফ্রিজের দাম
ফ্রিজ। প্রতীকী ছবি

রেফ্রিজারেটরের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে রেফ্রিজারেটরের। 

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনের উৎপাদনে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ হার ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এতে দেশীয় উৎপাদনকারীদের খরচ বাড়বে এবং বাজারে এসব পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

০২ জুন, ২০২৫

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন একটি আয়কর ক্যাটাগরি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে এই ক্যাটাগরিতে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গেজেটভুক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে এই সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমাও ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই দুই অর্থবছরে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। 

জুলাই অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট। চলমান অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থায় সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ নেই। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। প্রক্রিয়াগতভাবে আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে এই বাজেট কার্যকর করা হবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ৫৪তম বাজেট এটি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে। 

০২ জুন, ২০২৫

এসির দাম বাড়ছে

এসির দাম বাড়ছে
এসি। প্রতীকী ছবি

এয়ারকন্ডিশনার (এসি) ও কম্প্রেসরের ভ্যাট দ্বিগুণ করা হচ্ছে। এতে বাড়তে যাচ্ছে এয়ারকন্ডিশনারের দাম। 

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, বর্তমানে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ হার ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এতে দেশীয় উৎপাদনকারীদের খরচ বাড়বে এবং বাজারে এই পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

০২ জুন, ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় নতুন বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ৫৪তম বাজেট এটি। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। 

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে 

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে 
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এদিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেটের বক্তব্য সম্প্রচার শুরু হয়। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ।

এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার।

০২ জুন, ২০২৫

প্রতি টনে রডের দাম বাড়বে ১৪০০ টাকা

প্রতি টনে রডের দাম বাড়বে ১৪০০ টাকা
রড। ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রড ও স্টিলে ভ্যাট (কর) বাড়িয়েছে সরকার। পাকা বাড়ি তৈরির অন্যতম এই অনুষঙ্গের কর বৃদ্ধির কারণে বাড়ি বানানোর খরচ বাড়বে।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেটে এ ঘোষণা দেন।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, রড ও স্টিলে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। দরকারি এই দুই অনুষঙ্গের আমদানিতে ভ্যাট ২০-২৩ শতাংশ ও উৎপাদনে ভ্যাট ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি টনে রডের দাম বাড়তে পারে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্টিলের মূল কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানিতে প্রতি টনে ফিক্সড শুল্ক আদায় করা হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। স্টিল থেকে বিলেট ও রড উৎপাদনে প্রতি টনে ফিক্সড ভ্যাট ২ হাজার ২০০ টাকা। সবমিলিয়ে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সরকার প্রতি টনে পাচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। সংসদ না থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা।

০২ জুন, ২০২৫

নতুন করদাতাদের জন্য সুখবর

নতুন করদাতাদের জন্য সুখবর
ট্যাক্স। প্রতীকী ছবি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষ থেকে ন্যূনতম করের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষে মোট আয়করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে কর প্রদান সংস্কৃতির বিকাশ, কর-নেট সম্প্রসারণ এবং নতুন করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমাণ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করের হার স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর পাঁচ শতাংশ, পরবর্তী চার লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, ২০ লাখ টাকার ওপরে ২৫ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।

তবে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য করে ধাপ কমিয়ে বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যক্তির আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ, ২০ লাখ টাকার ওপরে ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

০২ জুন, ২০২৫

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৯ শতাংশের সমান।

সোমবার (০২ জুন) এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। জনবল বৃদ্ধি, কর অব্যাহতির ক্ষেত্রগুলো যৌক্তিকীকরণ, কর জালের সম্প্রসারণ এবং একক হারে ভ্যাট নির্ধারণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চালানো হবে।

তিনি বলেন, নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৬৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অন্যান্য উৎস থেকে। সরকার আশা করছে, এই রাজস্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরও দৃঢ় হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট। সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। 

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

বাড়ছে চকলেটের দাম

বাড়ছে চকলেটের দাম
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য চার ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১০ ডলার। এতে আমদানি করা সব ধরনের চকলেটের দাম বাড়বে। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।


জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

দাম বাড়ছে মোবাইল ফোনের

দাম বাড়ছে মোবাইল ফোনের
ছবি : সংগৃহীত

দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে।

আজ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সরকার অনুপস্থিত থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এবারের বাজেট ঘোষণা করা হয়। সাধারণত জুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর ৫ জুন থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় ব্যতিক্রমভাবে সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণা করা হলো।

প্রথা অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই প্রস্তাবিত অর্থবিলে উল্লিখিত রাজস্ব নীতিমালা, কর, ভ্যাট ও শুল্কহার কার্যকর করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ফলে বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই মোবাইল ফোনে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করবে।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেটে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জন্য সুখবর, প্রাথমিকে দুঃসংবাদ

বাজেটে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জন্য সুখবর, প্রাথমিকে দুঃসংবাদ
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে ৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থায় কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা যাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।

আজ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত পূর্ব-ধারণকৃত বক্তব্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজেট ঘোষণার আগে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ হ্রাস পাওয়ায় এই খাতে আর্থিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
 

০২ জুন, ২০২৫

বলপয়েন্ট কলমের দাম কমবে

বলপয়েন্ট কলমের দাম কমবে
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বলপয়েন্ট কলমের ওপর সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশে উৎপাদিত বলপয়েন্ট কলমের দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় সাত লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলপয়েন্ট কলমের ওপর বিদ্যমান ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বর্তমানে দেশে ম্যাটাডর, অলিম্পিক, ইকোনো, আরএফএল ও মেঘনাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বলপয়েন্ট কলম উৎপাদন করে। এসব কলম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কালি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

এই কালি আমদানির সময় ১০ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক, ৫ শতাংশ উৎসে কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ মোট ২০ শতাংশ কর প্রযোজ্য ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বলপয়েন্ট কলমের উৎপাদনে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে সমালোচনার মুখে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলপয়েন্ট কলমের ওপর সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলপয়েন্ট কলমের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

০২ জুন, ২০২৫

নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা

নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দা রাখা হবে অর্থ বিভাগের জন্য।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থান করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে। 

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। 

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেট উপস্থাপন শুরু অর্থ উপদেষ্টার

বাজেট উপস্থাপন শুরু অর্থ উপদেষ্টার
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট। 

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। 

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে। 

০২ জুন, ২০২৫

বাড়তে পারে সিগারেটের দাম

বাড়তে পারে সিগারেটের দাম
সিগারেট। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।

এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায় ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বেশকিছু পণ্যের ওপর কর, শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে সিগারেটের দাম আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের বিভিন্ন স্তরে ৫-৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। নতুন বাজেটে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। ফলে সিগারেটের দাম আরও বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান বা তামাক ব্যবহার করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সম্মিলিত ফল।

০২ জুন, ২০২৫

স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার

স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে আজ। প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে।

সোমবার (০২ জুন) বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ঘোষণার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেটটি পাস হবে। বাজেট বক্তৃতার পরপরই বিকেল ৩টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট সব খাতের তথ্য প্রকাশ করা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। 

স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট হবে বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রথম বাজেট। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

১. মুজিবনগর সরকার, ১৯ জুলাই ১৯৭১

প্রথম বাজেটটি দিয়েছিল মুজিবনগর সরকার। তখন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এম মনসুর আলী। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর অনুমোদন দিয়েছিলেন। মোট বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। 

২. তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭২ / ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, শনিবার, ৩০ জুন, ১৯৭২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে একইসঙ্গে দুই অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৭১-৭২ অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে এবং তা শেষ হয় ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। এ সময় মোট বাজেট ৭১৯.৪৩ কোটি, মোট আয় ২৮৫.৩৮ কোটি ও মোট ঘাটতি ছিল ৪২৭.৮৫ কোটি টাকা।

৩. তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ১৯৭৩

মোট বাজেট ৮২০.৬৫ কোটি টাকা, মোট আয় ৩৭৪.৩২ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ছিল ৪০৯.৩৪ কোটি টাকা।

৪. তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর, বুধবার, ১৯ জুন ১৯৭৪

অর্থমন্ত্রী হিসাবে তাজউদ্দীন আহমদের শেষ বাজেট ছিল এটি। এ সময় মোট বাজেট ৯৯৫.২৩ কোটি টাকা, মোট আয় ৪৭০.২৩ কোটি টাকা এবং মোট ঘাটতি ছিল ৫২৫ কোটি টাকা।

৫. এ আর মল্লিক, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর, সোমবার, ২৩ জুন, ১৯৭৫

মোট বাজেট ১৫৪৯.৪৮ কোটি টাকা, মোট আয় ৭৫৫.৩৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৭৯৪.১০ কোটি টাকা।

৬. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর, শনিবার, ২৬ জুন ১৯৭৬

মোট বাজেট ১৮৬৭.৮৭ কোটি টাকা, মোট আয় ৯৬৬.৩৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৯০১.৪৯ কোটি টাকা।

৭. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর, শনিবার, ২৫ জুন, ১৯৭৭

মোট বাজেট ২,০৮৬. ৯৬ কোটি টাকা, মোট আয় ১,১৫৬ কোটি টাকা, ঘাটতি ৯৩০.৩৫ কোটি টাকা।

৮. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর, শনিবার, ৩০ জুন, ১৯৭৮

মোট বাজেট ২,৪৪৩. ৯৬ কোটি টাকা, মোট আয় ১,৩৭৬ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১,০৬৭. ৪৬ কোটি টাকা।

৯. মীর্জা নুরুল হুদা, ১৯৭৯-৮০ অর্থবছর, শনিবার, ২ জুন ১৯৭৯

মোট বাজেট ৩,২৬৩. ৯৬ কোটি টাকা, মোট আয় ১,৮১২. ০২ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১,৪৫১. ৯৪ কোটি টাকা।

১০. মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, ১৯৮০-৮১, শনিবার, ৭ জুন, ১৯৮০

মোট বাজেট ৪,১০৮. ০৩ কোটি টাকা, মোট আয় ২,১৯৩ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১,৯১৪. ৬৫ কোটি টাকা।

১১. মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, ১৯৮১-৮২ অর্থবছর, শনিবার, ৬ জুন, ১৯৮১

মোট বাজেট ৪,৬৭৭ কোটি টাকা, মোট আয় ২,৭৬৭ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১,৯১০ কোটি টাকা।

১২. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১৯৮২-৮৩ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ১৯৮২

মোট বাজেট ৪,৭৩৭. ৬৩ কোটি টাকা, মোট আয় ২,৬৬৭. ৮২ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১,৯৬৯. ৮১ কোটি টাকা।

১৩. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর, শনিবার ৩০ জুন, ১৯৮৩

মোট বাজেট ৫,৮৯৭. ৪০ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৩৯৬. ৭৬ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ২,৫০০. ৬৪ কোটি টাকা।

১৪. এম সাইদুজ্জামান, ১৯৮৪-৮৫, বুধবার, ২৭ জুন, ১৯৮৪

মোট বাজেট ৬,৬৯৮. ৮০ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৪৬৫ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৩,২৩৩. ৮০ কোটি টাকা।

১৫. এম সাইদুজ্জামান, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর, রোববার, ৩০ জুন, ১৯৮৫

মোট বাজেট ৭,১৩৮. ৭২ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৭৫৪ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৩,৩৮৪. ৭২ কোটি টাকা।

১৬. এম সাইদুজ্জামান, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর, শুক্রবার, ২৭ জুন, ১৯৮৬

মোট বাজেট ৮,৫০৪ কোটি টাকা, মোট আয় ৪,৪৬৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৪,০৩৬ কোটি টাকা।

১৭. এম সাইদুজ্জামান, ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ১৯৮৭

মোট বাজেট ৯,৫২৭ কোটি টাকা, মোট আয় ৪,৯১৫ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৪,৬১২ কোটি টাকা।

১৮. মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মুনএম, বৃহস্পতিবার, ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর, ১৬ জুন, ১৯৮৮

মোট বাজেট ১০,৫৬৫ কোটি টাকা, মোট আয় ৫,৫৬৯ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৪,৯৯৬ কোটি টাকা।

১৯. ওয়াহিদুল হক, ১৯৮৯-৯০ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ১৯৮৯

মোট বাজেট ১২,৭০৩. ০২ কোটি টাকা, মোট আয় ৫,৫৬৯ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৫,৫২২. ৪৯ কোটি টাকা।

২০. মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মুনএম, ১৯৯০-৯১ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ১৯৯০

মোট বাজেট ১২,৯৬৮ কোটি টাকা, মোট আয় ৭,৫৬২. ৭৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৫,৪০৫. ২২ কোটি টাকা।

২১. মো. সাইফুর রহমান, ১৯৯১-৯২ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ১৯৯১

মোট বাজেট ১৫,৫৮৩. ২৫ কোটি টাকা, মোট আয় ৮,৫০৩. ০৯ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৭,০৮০. ১৬ কোটি টাকা।

২২. মো. সাইফুর রহমান, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ১৯৯২

মোট বাজেট ১৭,২০০ কোটি টাকা, মোট আয় ১০,৫৫৪ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৬,৬৪৬ কোটি টাকা।

২৩. মো. সাইফুর রহমান, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ১৯৯৩

মোট বাজেট ১৯,০৫০ কোটি টাকা, মোট আয় ১২,৩৩৫ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৬,৭১৫ কোটি টাকা।

২৪. মো. সাইফুর রহমান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ১৯৯৪

মোট বাজেট ২০,৯৪৮ কোটি টাকা, মোট আয় ১৩,৬৩৭ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৭,৩১১ কোটি টাকা।

২৫. মো. সাইফুর রহমান, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ১৯৯৫

মোট বাজেট ২৪,৭০৭ কোটি টাকা, মোট আয় ১৫,৪৫০ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৯,২৫৭ কোটি টাকা।

২৬. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ১৯৯৬-৯৭, রোববার, ২৮ জুলাই, ১৯৯৬

মোট বাজেট ২৫,২৫৮ কোটি টাকা, মোট আয় ১৭,১২০ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৮,১৩৮ কোটি টাকা।

২৭. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ১৯৯৭-৯৮, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ১৯৯৭

মোট বাজেট ২৭,৭৮৬ কোটি টাকা, মোট আয় ১৯,৬২৪ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৮,১৬২ কোটি টাকা।

২৮. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ১৯৯৮

মোট বাজেট ৩০,০৯৬ কোটি টাকা, মোট আয় ২০,৭৭৬ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৯,৩২০ কোটি টাকা।

২৯. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ১৯৯৯

মোট বাজেট ৩৬,১৭৮ কোটি টাকা, মোট আয় ২৪,১৫১ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১২,০২৭ কোটি টাকা।

৩০. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ২০০০-০১ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০০০

মোট বাজেট ৪২,৮৫৯ কোটি টাকা, মোট আয় ২৪,১৯৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৮,৬৬১ কোটি টাকা।

৩১. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ২০০১-০২ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০০১

মোট বাজেট ৪৪,৭৬৫ কোটি টাকা, মোট আয় ২৭,২৩৯ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৭,৫২৬ কোটি টাকা।

৩২. এম সাইফুর রহমান, ২০০২-০৩ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০০২

মোট বাজেট ৪৪,৮৫৪ কোটি টাকা, মোট আয় ৩৩,০৮৪ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১১,৭৭০ কোটি টাকা।

৩৩. এম সাইফুর রহমান, ২০০৩-০৪ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০০৩

মোট বাজেট ৫১,৯৮০ কোটি টাকা, মোট আয় ৩৬,১৭১ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৫,৮০৯ কোটি টাকা।

৩৪. এম সাইফুর রহমান, ২০০৪-০৫ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০০৪

মোট বাজেট ৫৭,২৪৮ কোটি টাকা, মোট আয় ৪১,৩০০ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৫,৯৪৮ কোটি টাকা।

৩৫. এম সাইফুর রহমান, ২০০৫-০৬ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০০৫

মোট বাজেট ৬৪,৩৮৩ কোটি টাকা, মোট আয় ৪৫,৭২২ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৮,৬৬১ কোটি টাকা।

৩৬. এম সাইফুর রহমান, ২০০৬-০৭ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০০৬

মোট বাজেট ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা, মোট আয় ৫২,৫৪২ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ১৭,১৯৮ কোটি টাকা।

৩৭. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, ২০০৭-০৮, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০০৭

মোট বাজেট ৮৭,১৩৭ কোটি টাকা, মোট আয় ৫৭,৩০১ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ২৯,৮৩৬ কোটি টাকা।

৩৮. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, ২০০৮-০৯ অর্থবছর, সোমবার, ৯ জুন, ২০০৮

মোট বাজেট ৯৯,৯৬২ কোটি টাকা, মোট আয় ৭৫,৭২৮ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ২৪,২৩৪ কোটি টাকা।

৩৯. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০০৯-২০ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০০৯

মোট বাজেট ১,১৩৮. ১৯ কোটি টাকা, মোট আয় ৭৯,৪৬১ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ২৯,২২৮ কোটি টাকা।

৪০. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১০-১১ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০১০

মোট বাজেট ১,৩২, ১৭০ কোটি টাকা, মোট আয় ৯২,৮৪৭ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৩৪,৫১৪ কোটি টাকা।

৪১. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১১-১২ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১১

মোট বাজেট ১,৬৩, ৫৮৯ কোটি টাকা, মোট আয় ১,১৮, ৩৭৫ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৪৫,২০৪ কোটি টাকা।

৪২. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১২-১৩ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২

মোট বাজেট ১,৯১, ৭৩৮ কোটি টাকা, মোট আয় ১,১৮, ৩৭৫ কোটি টাকা, মোট ঘাটতি ৫২,০৬৮ কোটি টাকা।

৪৩. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৩-১৪ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৩

মোট বাজেট ২,২২, ৪৯১ কোটি টাকা, মোট আয় ১,৭৪, ১২৯ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ৪৮,৩৬২ কোটি।

৪৪. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৪-১৫ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০১৪

মোট বাজেট ২,৫০, ৫০৬ কোটি টাকা, মোট আয় ১,৮৯, ১৬০, সামগ্রিক ঘাটতি ৬১,৩৪১ কোটি টাকা।

৪৫. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৫-১৬, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

মোট বাজেট ২,৯৫, ১০০ কোটি টাকা, মোট আয় ২,১৪, ২৪৩, সামগ্রিক ঘাটতি ৮০,৮৫৭ কোটি টাকা।

৪৬. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৬-১৭ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

মোট বাজেট ৩,৪০, ৬০৫ কোটি টাকা, মোট আয় ২,৪৮, ২৬৮ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ৯২,৩৩৭ কোটি টাকা।

৪৭. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৭-১৮ অর্থবছর, ১ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০১৭

মোট বাজেট ৪,০০, ২৬৬ কোটি টাকা, মোট আয় ২,৯৩, ৪৯৪ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ১,০৬, ৭৭০ কোটি টাকা।

৪৮. আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৮-১৯ অর্থবছর, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

মোট বাজেট ৪,৬৪, ৫৭৩ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৪৩, ৩৩১ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ১,২১, ২৪২ কোটি টাকা।

৪৯. আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০১৯, ২০১৯-২০,১৩ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০১৯

মোট বাজেট ৫,২৩, ১৯০ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৮১, ৯৭৮ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ১,৪১, ২১২ কোটি টাকা।

৫০. আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০২০, ২০২০-২১, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০

মোট বাজেট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মোট আয় ৩,৭৮, ০০০ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ১,৯০, ০০০ কোটি টাকা।

৫১. আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০২১-২২ অর্থবছর, ৩ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২১

মোট বাজেট ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। মোট ব্যয় ৬,০৩, ৬৮১ কোটি টাকা, মোট আয় ৩,৮৯, ০০০ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ২,১৪, ৬৮১ কোটি টাকা।

৫২. আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০২২-২৩ অর্থবছর, ৯ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২২

মোট বাজেট ৬,৭৮, ০৬৪ কোটি টাকা, মোট আয় ৪,৩৩, ০০০ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ২,৪৫, ০৬৪ কোটি টাকা।

৫৩. আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০২৩-২৪ অর্থবছর, ১ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২৩

মোট বাজেট ৭,৬১, ৭৮৫ কোটি টাকা, মোট আয় ৫,০৩, ৯০০ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ২,৬১, ৭৮৫ কোটি টাকা।

৫৪. আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর, ৬ জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২৪

মোট বাজেট ৭,৯৭, ০০০ কোটি টাকা, মোট আয় ৫,৪৫, ৪০০ কোটি টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি ২,৫৬, ০০০ কোটি টাকা। 

০২ জুন, ২০২৫

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে।

সোমবার (০২ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হওয়া উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিকে প্রথম দফায় আলোচনা শেষে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলো দূর করতে আজ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু করবেন।

সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর গঠিত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশ পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত করার জন্য ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছিল।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আলোচনার প্রথম ধাপে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেট কী, কেন দিতে হয়

বাজেট কী, কেন দিতে হয়
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট আজ বিকেলে ঘোষণা করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পেশ করবেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হতে পারে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৮ কোটি এবং পরিচালন ব্যয় ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই বাজেট দেওয়ার দরকারটাই বা কী?

বাজেট কী?

সরল ভাষায়, বাজেট মানে হলো—সরকার এক বছরে কত টাকা আয় করতে চায়, আর সেই টাকা কোন কোন খাতে খরচ করবে—তার লিখিত পরিকল্পনা।  এটি শুধু আয়-ব্যয়ের খসড়া নয়, বরং একটি দেশের আর্থিক দিকনির্দেশনাও।

বাজেট ছাড়া চলবে না কেন?

কারণ, কোনো দেশ ঠিকঠাকভাবে পরিচালনা করতে হলে, তার আয়-ব্যয়ের আগাম পরিকল্পনা থাকাটা জরুরি। সরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট, সেতু, বিদ্যুৎ প্রকল্প—সবকিছুতেই অর্থ খরচ হয়। আর সেই খরচের উৎস কোথা থেকে আসবে, তা বাজেটেই নির্ধারিত হয়।

বাজেট দিলে কী সুবিধা হয়?

  1. পরিকল্পিত খরচ: বাজেট না থাকলে সরকার জানত না কোন খাতে কত খরচ করবে। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো। বাজেট দিয়ে প্রতিটি খাতে অর্থ বরাদ্দ নির্ধারণ করা যায়।
  2. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: বাজেট সংসদে পেশ হয়, বিতর্ক হয়, অনুমোদিত হয়—ফলে জনগণের সামনে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ পায়।
  3. উন্নয়নের রূপরেখা: বাজেটে সরকার জানায়, আগামী বছর কোন খাতে উন্নয়ন করবে—নতুন রাস্তা, হাসপাতাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্কুল নির্মাণ ইত্যাদি। অর্থাৎ, এটি ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনাও।
  4. অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ: বাজেটের মাধ্যমে কর নির্ধারণ, ভর্তুকি, ঋণ নেওয়া ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়—যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।

বাজেটের ধরন ও প্রয়োগ

বাজেট প্রধানত দুই ধরনের হয়:

  1. চলতি বাজেট: সরকারি প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ, বিচার ইত্যাদির জন্য নিয়মিত ব্যয়।
  2. মূলধনী বাজেট (উন্নয়ন বাজেট): নতুন প্রকল্প বা অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয়—যেমন, ব্রিজ, স্কুল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি।

বাজেটের কাঠামো আবার তিনভাবে হতে পারে:

  1. সুষম বাজেট: আয় = ব্যয়
  2. উদ্বৃত্ত বাজেট: আয় > ব্যয়
  3. ঘাটতি বাজেট: ব্যয় > আয় (যা সাধারণত ঋণ নিয়ে পূরণ করা হয়)

উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঘাটতি বাজেট খুব সাধারণ ব্যাপার। কারণ, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেক সময় খরচ হয় বেশি, আয় হয় কম।

বাজেট না দিলে কী হতো?

ভাবুন তো, আপনি বাড়ির মাসিক আয়-ব্যয়ের হিসাব না করে চলেন। এক মাসের শেষে দেখলেন, টাকা শেষ! তখন আপনি হয় ধার করবেন, না হয় খরচ কমাবেন। একইভাবে রাষ্ট্র যদি পরিকল্পনাহীনভাবে আয়-ব্যয় করে, তাহলে ঋণের বোঝা বাড়বে, উন্নয়ন ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতি হবে অস্থির।

সংবিধানে বাজেটের গুরুত্ব

বাংলাদেশের সংবিধানে বাজেটকে বলা হয়েছে ‘বার্ষিক আর্থিক বিবরণী’। এটি সংসদে উপস্থাপন ও অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর হয়। অর্থাৎ, এটি কেবল একটি আর্থিক পরিকল্পনা নয়—রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

শেষ কথা হলো, বাজেট হলো রাষ্ট্র পরিচালনার ‘গাইডলাইন’। এটি না থাকলে সরকার জানত না—কোথা থেকে টাকা আনবে, কোথায় খরচ করবে। জনগণ জানত না—সরকার কীভাবে দেশের টাকা ব্যবহার করছে। তাই বাজেট শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রতীকও।

০২ জুন, ২০২৫

এবারের বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম

এবারের বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অনিশ্চয়তায় এবং প্রশাসনিক স্থবিরতায় যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এবার বাজেট পেশে থাকছে কিছু ভিন্নতা। 

সোমবার (০২ জুন) সংসদ কার্যকর না থাকায় বেতার ও টেলিভিশনে এবারের বাজেট পেশ করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট পেশের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেটটি পাস হবে। বাজেট বক্তৃতার পরপরই বিকেল ৩টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট সব খাতের তথ্য প্রকাশ করা হবে।

বাজেটে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ালেও একই সঙ্গে এ বাজেটে কমতে পারে বেশকিছু পণ্যর দাম। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক, দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের-

মাটি ও পাতার তৈরি পণ্য 

মাটি ও পাতার তৈরি তৈজসপত্রে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, তবে আসন্ন বাজেটে এসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব থাকছে।

এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রস্তাবিত বাজেটে এলএনজি আমদানিতে ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। বর্তমানে আমদানির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। আবার বিক্রির সময়ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ উৎসে কর কাটা হয়। এ ছাড়া মার্জিন বিল পরিশোধে গ্যাস বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে ৫% উৎসে কর নেওয়া হয়।

জ্বালানি তেল

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে। অন্যান্য জ্বালানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমানো হতে পারে। এতে জ্বালানির দাম কিছুটা কমতে পারে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঋণপত্রে কমছে উৎসে কর

আসন্ন বাজেটে উৎসে কর কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রে ১ শতাংশ উৎসে কর অর্ধেকে নামানো হচ্ছে। এতে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভুট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, কালো গোলমরিচ, দারুচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, খেজুর, ক্যাসিয়া পাতা, কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফলের দাম কমতে পারে।

ভূমি নিবন্ধনে কর কমছে

ভূমি নিবন্ধনে আসন্ন বাজেটে কিছু ছাড় আসছে। কাঠার বদলে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর ধার্য হবে। এক্ষেত্রে ভূমি নিবন্ধনে অগ্রিম করও কিছুটা কমানো হতে পারে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমছে

চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আসছে। প্রতি টন পরিশোধিত চিনিতে শুল্ক ৪,৫০০ টাকা থেকে ৪,০০০ টাকা করা হতে পারে।

চামড়াশিল্পে শুল্ক ছাড়

এবারের বাজেটে চামড়া শিল্পের জন্য কিছু রাসায়নিক উপাদানে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।

সয়াবিন ও কাগজশিল্পের কাঁচামালে শুল্ক কমছে

দেশীয় শিল্পে সহায়তা দিতে কিছু কাঁচামালে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আসছে। সয়াবিন মিল, কাগজশিল্প ও নির্মাণ উপকরণে শুল্ক হ্রাসের কথা বলা হচ্ছে। নিউট্রালাইজড সয়াবিন তেলেও শুল্ক রেয়াতের প্রস্তাব আছে। অন্যদিকে নির্মাণশিল্পের উপকরণ স্থানীয় শিরিশ কাগজ শিল্পের প্রয়োজনীয় ফেনোলিক রেজিন ও স্যান্ডপেপার জাতীয় কাঁচামালের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকছে বলে জানা গেছে।

সাশ্রয়ে মূল্যে মিলবে ক্রিকেট ব্যাট

ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কাঠে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে শুল্ক ৩৭ শতাংশ হলেও তা কমিয়ে ২৬ শতাংশ করা হতে পারে।

বিদেশি জুস

নন-অ্যালকোহলিক জুস আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০  শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে বিদেশি জুস মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।

সংবাদপত্রের নিউজপ্রিন্ট

সংবাদপত্রের শিল্পে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্ট আমদানির কাস্টমস শুল্ক ৫ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব বিবেচনা থাকছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

পিভিসি পাইপ ও কপার ওয়্যার

পিভিসি পাইপের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। একইভাবে, কপার ওয়্যারের উপকরণে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে এবারের বাজেটে।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন খাতে টায়ার, টিউব, ব্রেক সু ও প্যাডে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আসছে। মার্বেল-গ্রানাইটের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতিতেও শুল্ক হ্রাসের কথা রয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

০২ জুন, ২০২৫

বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম

বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে।

সোমবার (২ জুন) বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ঘোষণার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেটটি পাস হবে। বাজেট বক্তৃতার পরপরই বিকেল ৩টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট সব খাতের তথ্য প্রকাশ করা হবে।

এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায় ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বেশকিছু পণ্যের ওপর কর, শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

সিগারেট

গত জানুয়ারিতে সিগারেটের বিভিন্ন স্তরে ৫-৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। নতুন বাজেটে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। ফলে সিগারেটের দাম আরও বাড়তে পারে।

রড ও স্টিল

নির্মাণ শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল রডের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমদানিতে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ এবং উৎপাদনে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফিক্সড আমদানি শুল্ক বাতিল হলেও, শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে প্রতি টন রডের দাম প্রায় ১  হাজার ৪০০ টাকা বাড়তে পারে।

এসি-ফ্রিজ

ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারকদের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাজেটে। বর্তমানে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা এসব পণ্যের দাম বাড়াতে পারে।

মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে ৩ শতাংশের অতিরিক্ত সব আমদানি, নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এতে মোটরসাইকেলের দাম কমেনি বললেই চলে। যদিও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-ভ্যাট কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

দেশীয় তৈরি মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে ভ্যাট ২-২.৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে, যার ফলে দেশীয় মোবাইল ফোনের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

ব্যাটারি

ব্যাটারিচালিত রিকশার ১,২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১% থেকে ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা এই খাতে প্রভাব ফেলতে পারে।

কসমেটিক্স পণ্য

লিপস্টিক, আইলাইনার, ফেসওয়াশসহ কসমেটিক্স পণ্যের আমদানির ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিপস্টিকের প্রতি কেজির শুল্কায়ন মূল্য ২০ ডলার থেকে ৪০ ডলার হতে পারে।

অন্যান্য

এ ছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে দাম বাড়তে পারে দেশীয় তৈরি সুতা, ব্লেড, বিদেশি চকলেট, মার্বেল-গ্রানাইট, বিদেশি খেলনা, হেলিকপ্টার, টেবিলওয়্যার ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

৩০ নভেম্বর, -০০০১

এবার সংকোচনমূলক বাজেট

এবার সংকোচনমূলক বাজেট
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অনিশ্চয়তায় এবং প্রশাসনিক স্থবিরতায় যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই আজ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন এই বাজেট সংকোচনমূলক হবে বলে ধারণা দেওয়া হলেও তা আগের বাজেটগুলোর মতো গতানুগতিক ধারারই হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আজ বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমে বাজেট বক্তব্য একযোগে প্রচার করা হবে। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার। বেলা ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছিল মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের বাজেট বক্তৃতা। পরে আওয়ামী লীগের চার মেয়াদে সাড়ে ১৫ বছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০ বার, আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার এবং আবুল হাসান মাহমুদ আলী একবার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। নির্বাচিত সরকারের আমলের এসব বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাসজুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হতো সংসদে। জুনের শেষ দিকে সংসদে পাস হতো নতুন অর্থবছরের বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা কার্যকর করা হবে।

তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন। সেটাই হবে অফিসিয়াল বাজেট অনুমোদন। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমস-সংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন থেকেই কার্যকর হবে। অন্য বরাদ্দগুলো ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, বাজেট ঘাটতি, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক ঋণসহ আসছে অর্থবছরের যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেগুলোর তুলনা চলছে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া তত্ত্ব-উপাত্ত্বের সঙ্গে। আগামী অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো দেশের জাতীয় বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় কমছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা থেকে কম। প্রস্তাবিত ঘাটতি অর্থায়ন শতাংশের বিচারে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৬২ শতাংশের সমান। এই ঘাটতি পূরণে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস তথা ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর ভরসার সঙ্গে বিদেশি ঋণের ওপরও নির্ভর করবে।

জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বেশি। বিগত সরকারের মতো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও, সেখানে সরকার মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে; তবে কেবল সুদের হারের ওপর নির্ভরতা না রেখে অন্য কোনো উপায়ে এটি নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা থাকবে কি না, তা অর্থ উপদেষ্টার বাজেট ঘোষণার মধ্য দিয়েই বোঝা যাবে। নিম্ন আয়ের মানুষের আর্থিক চাপ কমাতে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সম্প্রসারণের ঘোষণা থাকতে পারে, যার আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ দুটিই বাড়ানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতগুলোর মধ্যে থাকছে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি।

৩০ নভেম্বর, -০০০১

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রেখেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার বাজেট প্রস্তাব পেশ করার সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে জানান, নির্ধারিত হারে কর দিলেই কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ বলে গণ্য করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে শর্ত থাকছে, সেই অর্থ যেন কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে অর্জিত না হয় এবং বিদ্যমান আইন পরিপন্থি না হয়।

যেসব মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা যাবে: সরকারিভাবে নির্ধারিত এলাকা ভেদে ফ্ল্যাট বা ভবন কেনা এবং নির্মাণে অপ্রদর্শিত অর্থ খরচ করতে চাইলে প্রতি বর্গফুটে নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল ও দিলকুশায় ২ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনের ক্ষেত্রে কর হবে প্রতি বর্গফুটে ২ হাজার টাকা। একই এলাকায় ২ হাজার বর্গফুটের কম আয়তনের অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি, উত্তরা, মহাখালী, লালমাটিয়া, বসুন্ধরা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য অভিজাত এলাকায় ২ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনের ক্ষেত্রে কর হবে ১৮০০ টাকা এবং অনধিক আয়তনের ক্ষেত্রে কর হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

অন্যদিকে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে বড় ফ্ল্যাটের (১৫০০ বর্গফুটের বেশি) ক্ষেত্রে কর প্রতি বর্গফুটে ৭০০ টাকা এবং ছোট ফ্ল্যাটে (১৫০০ বর্গফুটের কম) কর ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা সদরের পৌর এলাকায় বড় ফ্ল্যাটের জন্য কর প্রতি বর্গফুটে ৩০০ টাকা এবং ছোট ফ্ল্যাটের জন্য ২৫০ টাকা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বড় ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে কর ১৫০ টাকা এবং ছোট ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা।

অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনা নয়, ভবন নির্মাণেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। এলাকাভেদে প্রতি বর্গফুটে ৫০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত কর দিয়ে এ সুবিধা নেওয়া যাবে।

এসব ছাড়াও থাকছে শর্তসাপেক্ষে কালো টাকা বৈধ করার উপায়। তবে এ ক্ষেত্রে যদি অপরাধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত হয়, তবে তা বৈধ করা যাবে না। অর্থের উৎস বৈধ না হলে, আইনের এই ধারায় সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এ ধরনের সুযোগের প্রচলন থাকলেও গত বছর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২ সেপ্টেম্বর এই বিধান বাতিল করে। তবে চলতি বাজেটে পুনরায় তা চালু করা হলো, যদিও করহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এই সুবিধাকে দীর্ঘদিন ধরে ‘অনৈতিক’ ও ‘সৎ করদাতার প্রতি বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা।

X