চিলিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। তবে ১-০ গোলের জয়েও চিলির পারফরম্যান্সকে ছোট করেননি আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি। বরং প্রতিপক্ষের লড়াকু মানসিকতা ও দ্বিতীয়ার্ধের দাপটকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রিভার প্লেটের ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর অভিষেক নিয়েও জানিয়েছেন বিশেষ অনুভূতি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, ‘চিলি সবসময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। আজকের ম্যাচেও তার প্রমাণ মিলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আমাদের বেশ চাপে ফেলেছিল, বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে, কিন্তু সফল হইনি। ফুটবলে এমন হতেই পারে—কখনো আপনি প্রভাব বিস্তার করবেন, কখনো প্রতিপক্ষ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল না পিছিয়ে যাওয়া। তবে চিলির পারফরম্যান্সের কারণেই আমাদের রক্ষণাত্মক হতে হয়েছে। প্রথমার্ধে আমরাই ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ ছিল সম্পূর্ণ চিলির।’
এই ম্যাচে ১৭ বছর ২৯৫ দিন বয়সে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটিয়ে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে খেলা ফুটবলারের রেকর্ড গড়েছেন ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনো। তাকে নিয়ে স্কালোনি বলেন,
‘ওর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। তবে আমরা চাচ্ছি ধীরে ধীরে এগোতে। ওকে বেশি কথা না বলেই আমরা চেষ্টা করেছি অভিষেকের চাপ থেকে রক্ষা করতে। মাঠে নামানোর সময় আমি শুধু বলেছিলাম—‘ডান দিকে যাও’। ওর মতো তরুণদের বুঝে-শুনে ব্যবহারের প্রয়োজন আছে। সময় দিলে ও আমাদের শক্তি বাড়াবে।’
স্কালোনি জানান, পরিকল্পনা ছিল লিওনেল মেসিকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানোর, তবে নিকোলাস পাজ চোট পাওয়ায় ৫৫ মিনিটেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়। ‘নিকোর প্যারালাইটিক (সংকুচিত মাংসপেশীর) ইনজুরি হয়েছিল, ব্যথা পেয়েছিল। আমরা ঝুঁকি নিইনি। এমন ম্যাচে ঝুঁকি না নেয়ার সুযোগ থাকে। আশা করি ওর কিছু হয়নি।’
চিলি এই হারের পর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের বাইরে রয়েছে। এ বিষয়ে স্কালোনির মত, ‘যারা ইতিহাস গড়েছে, তাদের বদলানো কখনোই সহজ নয়। সময় চলে গেছে, এখন তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। নতুন প্রজন্ম আসছে, তাদের ওপরই এখন ভরসা রাখতে হবে।’
স্কালোনির মন্তব্যগুলো শুধু ম্যাচ বিশ্লেষণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ইঙ্গিতও দেয়। তিনি জানেন তরুণদের গড়ে তোলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আবার চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবেও প্রতিপক্ষের প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে জানেন। আর মাস্তান্তুয়োনোর অভিষেক? তা নিঃসন্দেহে আলবিসেলেস্তে ভবিষ্যতের নতুন দিগন্ত খুলে দিলো।
মন্তব্য করুন