যথাযথ সুযোগ ও প্রশিক্ষণ পেলে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেতৃত্বে দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী যে কোন নারী ও পুরুষ থেকে বেশি অবদান রাখতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পলক।
দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থার্ড জেন্ডার বা ট্রান্সজেন্ডারদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে ‘আইসিটি প্রশিক্ষণ কোর্স’ এর উদ্বোধনে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এ সময় পলক বলেন, সমান মর্যাদা দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য স্মার্ট জব ফেয়ারের আয়োজন করা হবে। এই ফেয়ারে চাকরিদাতারা অন স্পট চাকরি দেবেন। আর অংশগ্রহণকারীদের দুর্বলতা ধরিয়ে দেয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। এরই মধ্যে আইসিটি বিভাগ ১২টি স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা করেছে। ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাতেই হবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে কোডার্সট্রাস্ট এর মাধ্যমে ৫৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। এছাড়াও দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠীদের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড অন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ (সিড) প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের ভালোবাসেন উল্লেখ করে পলক বলেন, তার বড় প্রমাণ তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়া। নাগরিক সনদপত্রে মায়ের নামের পাশাপাশি লিঙ্গের স্থানে তাদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আইনগতভাবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এটা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আগামী দিনে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে দেখা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে কোডার্স ট্রাস্ট চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রতিষ্ঠাতা সালেহ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন