বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের নৌ-বাণিজ্যের যে সক্ষমতা অর্জন হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে দরার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। এর ফলে দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা, জাহাজনির্মাণ, শিপইয়ার্ড, শিপ এজেন্ট, শিপ রিসাইক্লিং, বন্দর অপারেটর, সিঅ্যান্ডএফসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বিদেশি বিনয়োগ আসবে বলে তারা আশা করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া তিনদিনব্যপী ৫ম ‘আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো অ্যান্ড ডায়ালগ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু উপস্থিত থাকার খাত থাকলেও অসুস্থতার কারনে তিনি আসতে পারেননি। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল গোলাম সাদেক।
আরও পড়ুন: অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই
বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী। দেশে টেকসই উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে পণ্যের সরবরাহ দ্রুত এবং কার্যকরী হওয়া আবশ্যক। এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য মাল্টিমোডাল হাব (বহুমুখী সংযোগ) স্থাপনের পাশাপাশি সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, নৌ-খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। আশা করছি, সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নৌ-বাণিজ্যে আরও বেশি বিদেশি বিনয়োগ আসবে।
প্রদর্শনীটি আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাসত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এক্সপোনেট এক্সিবিশন এর উদ্যোগে ও নৌপরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় মেলায়, মেলায় ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক নৌ-বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- ডিজিটালাইজেশন এবং ডিকার্বনাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে প্রদর্শনীর পাশাপাশি স্মার্ট পোর্ট, গ্রিন শিপ বিল্ডিং ও রিসাইক্লিং, শিপিং বিসনেস বিয়ন্ড বাউন্ডারি, মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন ও মেরিটাইম এডুকেশনের ওপর ৫টি নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদর্শনীতে জাহাজনির্মাতা-ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ড, জাহাজ মালিক ও শিপ এজেন্ট, শিপ রিসাইক্লিং, নকশা প্রণয়নকারী, বন্দর অপারেটর, সিএন্ডএফ, মেরিটাইম একাডেমি, নাবিক নিয়োগকারী সংস্থা, লঞ্চ ও কোস্টালশিপ, নেভিগেশন ও মেরিন ইকুইপমেন্ট, আমদানি ও রপ্তানিকারক সহ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সাইফ পাওয়ারটেক গ্রুপ, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম ও রংপুর, আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শিপওয়েজ লি., বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (সিআইএলটি), বাংলাদেশ ফ্রেট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, গ্রুপ নটকা ও ঢাকা ওয়াসা ৬টি দেশের প্রায় ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কমডোর (অব) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, বাংলাদেশ ফ্রেট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।
মন্তব্য করুন